‘ফেন্সিং’ খেলাটির নামটা ঠিক যতটা আধুনিক, ঠিক ততটাই খতরনাক। একে অপরের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে তরোয়াল চালাতে হয় প্রতিযোগীদের। আবার সেই তরোয়াল দিয়েই নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করে অন্য প্রতিযোগী। এমনই একটি খতরনাক খেলা ২০২৪ প্যারিস অলিম্পিক্সেরও অংশ। এই খেলাতে অংশগ্রহণ করতে পারেন পুরুষ, নারী প্রত্যেকেই। তবে, চলতি অলিম্পিক্সে আবারও ঘটেছে এক বিরল ঘটনা।
সাত মাসের অন্তসত্ত্বা হওয়ার পরেও অলিম্পিক্সে অংশ গ্রহণ করেন নাদা হাফেজ (Nada Hafez)। সম্প্রতি ইনস্টা পোস্ট করে তিনি জানান, তাঁর প্রেগন্যান্সির কথা। তারপরেও ফেন্সিং-য়ের প্রতিযোগিতায় নাম লিখিয়েছিলেন তিনি। নাদা (Nada Hafez) মিশরের বাসিন্দা। ছোট থেকেই ফেন্সিং-য়ের সখ ছিল তাঁর। সেই ইচ্ছে থেকেই প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করেন তিনি। তারপর ২০১৬ সালে রিও অনিম্পিক্স, ২০২০ সালের টোকিও অলিম্পিক্স ইত্যাদিতে মিশরের দলের অংশ ছিলেন তিনি।
সাত মাসের অন্তসত্ত্বা হওয়ার পরেও অলিম্পিক্সে অংশ গ্রহণ করেন নাদা হাফেজ (Nada Hafez)
২০১৪ সালে হাফেজ মিশরের সিনিয়র মহিলা ফেন্সিং দলে যুক্ত হন। তারপরেই আফ্রিকান জোলান চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ পদক অর্জন করেন। এই ঘটনা রিপিট হয় ২০১৯ সালেও। ২০১৮ সালে তিনি, এই চ্যাম্পিয়নশিপে রৌপ্য পদক অর্জন করেছিলেন। হাফিজের বয়স এখন ২৬ বছর। আর মাত্র তিন মাসের অপেক্ষা। তারপরেই পৃথিবীর আলো দেখবে তাঁর সন্তান। এমতাবস্থায় ফেন্সিংয়ে অংশগ্রহণ করেছেন তিনি। এই নিয়েই হইহই পড়ে গিয়েছে সারা বিশ্বে।
সম্প্রতি একটি পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন তিনি। সেখানে তিনি বলেন, ‘ফেন্সিংয়ে অংশগ্রহণ করতে পেরে আমি ভীষণ খুশি ও গর্বিত। সাত মাসের প্রেগন্যান্সি নিয়ে লড়াইতে নেমেছিলাম। আমার সঙ্গে লড়ছিল আমার সন্তানও। আমি অনেক ভাগ্যবান যে আমার স্বামী ও পরিবার এই বিষয়ে আমার সাপোর্ট করেছে। গর্ভাবস্থায় এই ধরনের লড়াই অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। তবে এই সময়টি আমার কাছে চির স্মরণীয় হয়ে থেকে যাবে।’