কমল দত্ত,নদিয়াঃ সকাল সাতটা বাজতেই শুরু হয়ে যায় নদিয়ার ৭৭ করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণ। যদিও ভোট শুরু হতে না হতেই বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদার অভিযোগ করেন, করিমপুরের থানার পাড়ায় ৩৯ নম্বর বুথের দুইজন বিজেপি এজেন্ট কে তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনী তাদের তুলে নিয়ে যায় । বেলা গোড়ালেও তাদের কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।
বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ, এই ঘটনায় স্থানীয় প্রধানের যুক্ত থাকার সম্ভাবনা আছে। তিনি বলেন, আমি অসমর্থিত সূত্রে খবর পেয়েছি যে, ওই প্রধান আমাদের দুইজনকে কোনও একটি জায়গায় আটক করে রেখেছে। আমরা কমিশন কে অভিযোগ জানিয়েছি। এছাড়াও বেশ কিছু বুথ এবং গ্রামে তৃণমূল গুন্ডাবাহিনী মানুষকে ভোট দিতে যেতে বাধা দিচ্ছে এবং ভয় দেখাচ্ছে। এমনই অভিযোগ সকাল থেকে করতে থাকেন বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদার।
তিনি আরও বলেন, এখানে ভোট হচ্ছে দুটি প্রশাসনের দ্বারা। এক পুলিশ প্রশাসন এবং দুই নির্বাচন কমিশন। পুলিশ প্রশাসন মমতা বিধানে পরিচালিত হচ্ছে আর নির্বাচন কমিশন সংবিধানের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। তৃণমূলের তরফে বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে তিনি বুথের ভিতরে সরাসরি ঢুকে একেবারে ইভিএম কাছে বার বার চলে যাচ্ছেন। এবিষয়ে কমিশনের কাছে অভিযোগও জানাচ্ছেন তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা।
পাশাপাশি বেশ কয়েকটি জায়গায় বিজেপি প্রার্থীকে সাহেবপাড়া, লক্ষীপুরে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। রিতীমত তাকে কালো পতাকা এবং গো ব্যেক ধন্ন্যিও শুনতে হয় বলে জানা যায়। এছাড়াও একটি বুথে জোর করে ঢুকতে গেলে বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ কে কেন্দ্রীয় বাহিনী তার হাত ধরে বুথ থেকে বের করে দিতেও দেখা যায়। এ পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী মোটের উপর একপ্রকার শান্তিতেই ভোট গ্রহণ চলছে। করিমপুরের ২৬১ টি বুথের জন্য বিশাল পুলিশ বাহিনী ছাড়াও প্রায় সত্তর কোম্পানি আধা সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। জয়প্রকাশ মজুমদারকে ৩৩ নং বুথে জ্যাম হয়ে যাবার কারনে তিনি ওই বুথে যাবার সময় তৃনমুলের বহিরাগত কর্মীরা তাকে গাড়ি আটকায় এবং চড় ঘুষি এবং লাঠি মেরে জংগলে ফেলে দেওয়া হয়।অভিযোগ তৃনমুলের বিরুদ্ধে।