প্রতিবাদের নামে দোকান ভাঙচুর! প্রতিবাদে ৭২ ঘন্টার বাজার বন্ধের ডাক বেথুয়াডহরি ব্যবসায়ী সমিতির

বাংলাহান্ট ডেস্ক : পয়গম্বর ইস্যুতে কলকাতা, হাওড়ার পর এবার উত্তপ্ত নদিয়ায। মুর্শিদাবাদের পর এবার বেথুয়াডহরিতে তাণ্ডব চালাল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একাংশ। ব্যাপক ভাঙচুর হয়েছে বেথুয়াডহরি স্টেশনেও।গতকাল সকাল থেকেই বিক্ষোভ মিছিলে উতপ্ত ছিল এলাকা। বিকেলের আগেই বেথুয়াডহরি স্টেশনে চলে ব্যাপক তাণ্ডব। আরপিএফ, জিআরপি, রাজ্য পুলিশের সম্মিলিত বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে।

নবীকে অবমাননা করে নূপুর শর্মার মন্তব্যের প্রতিবাদে রবিবার নাকাশিপাড়ার বেথুয়াডহরিতে মিছিল বের করে মুসলিমদের একাধিক সংগঠন। অভিযোগ, বেথুয়াডহরি বাজারের কাছে মিছিলটি আসতেই রাস্তার পাশের ঘরবাড়ি ও দোকানে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় তারা। গন্ডগোলের প্রভাবে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। পুলিশ বাহিনী পৌঁছেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, মিছিলের একটি অংশ চিৎকার করতে করতে বেথুয়াডহরি স্টেশনে পৌঁছে যায়। আপ কৃষ্ণনগর–লালগোলা লোকাল প্ল্যাটফর্মে পৌঁছতেই শুরু হয় পাথর ছোঁড়া। ট্রেন চলাচল সম্পুর্ন বন্ধ হয়ে যায়। আপ ট্রেনে ভাঙচুরও চালায় হামলাকারীরা। এই ঘটনার পরেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নাকাশিপাড়া ব্লকে রবিবার রাত থেকেই ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। ট্রেনে ভাঙচুর ও গন্ডগোলের অভিযোগে এখনও পর্যন্ত ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। বেথুয়াডহরি স্টেশনে বিপুল সংখ্যায় মোতায়েন রয়েছে জিআরপি।

এই হামলার ঘটনায় প্রবল ক্ষোভ ছড়িয়েছে এলাকা জুড়েই। রবিবার এই ঘটনার পর সামগ্রিক প্রতিবাদের ডাক দিয়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ীর সমিতিও। কীভাবে এতবড় মিছিলের পর লাগামছাড়া ভাঙচুর চালানো হল, স্টেশনে ঢুকে হামলা করা হলো, সেই প্রশ্নও তুলেছেন অনেকেই। প্রতিবাদ জানাতে ৭২ ঘণ্টা বন্ধের ডাক দিয়েছে বেথুয়াডহরি ব্যবসায়ী সমিতি।


Sudipto

সম্পর্কিত খবর