বাংলা হান্ট ডেস্কঃ করোনার কারণে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হয়েছে সেঁতা সবারই জানা। বিগত প্রায় দুই বছর ধরে লক্ষ লক্ষ দেশবাসী কাজ হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গিয়েছেন। তবে এবার এমন এক খবর সামনে আসছে, যার জন্য করোনাকে দায়ী করা ঠিক হবে না। আর এই মর্মান্তিক খবর আসছে নদিয়া জেলার তাহেরপুর থেকে। সেখানে অভাবের তাড়নায় বিগত তিন বছরে ৬ জনের কিডনি বিক্রি করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
কারও সংসার চালাতে, আবার কাউকে চিকিৎসার জন্য দেহের গুরুত্বপূর্ণ অংশ বিক্রি করে দেওয়ার ঘটনা সামনে আসার পর চারিদিকে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জানা গিয়েছে যে, যেই ছয়জন অভাবের তাড়নায় কিডনি বিক্রি করেছেন, তাঁদের মধ্যে চার জন আবার একই পরিবারের। সরকার, স্থানীয় জন প্রতিনিধি বা প্রতিবেশী, কেউই তাঁদের পাশে দাঁড়ায় নি।
নদিয়ার তাহেরপুরের শর্মা পাড়ার এই ঘটনা সামনে আসার পর স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান পরিস্কার জানিয়েছেন যে, তিনি এই বিষয়ে কিছুই জানতেন না। কিডনি বিক্রি করা এক ব্যক্তি জানান, বাড়ি ঘর মেরামতির জন্য অনেক টাকার দরকার ছিল, সেই কারণে তিনি কিডনি বিক্রি করে দিয়েছেন। তিনি জানান, এলাকার এক ব্যক্তির মাধ্যমে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে তিনি সাড়ে চার লক্ষ টাকার বিনিময়ে কিডনি বিক্রি করেন। ওই ব্যক্তি অভিযোগ করে জানান, তাঁকে চার লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে মাত্র, বাকি টাকা দেওয়া হয়নি।
কিডনিদাতা এক মহিলা জানান, স্বামীর চিকিৎসার অর্থ জোগাতে তিনি কিডনি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অন্যদিকে ওই এলাকারই এক ইলেকট্রিক মিস্ত্রি স্বেচ্ছায় বিনামূল্যে কিডনি দান করেছেন বলে জানান। যদিও, প্রতিবেশীদের মতে তাঁর বাড়িতেও অভাব-অনটন রয়েছে, সেই মতে সে কীভাবে বিনামূল্যে কিডনি দিয়ে দিল, সেটা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।