শরীরে চিতার ছাই! করেন কঠোর তপস্যাও, নাগা সন্ন্যাসীদের হাড়হিম করা তথ্য জানলে উড়বে ঘুম

বাংলাহান্ট ডেস্ক : মহাকুম্ভ মেলা শুরু হয়ে গিয়েছে উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে। প্রায় ৪০ কোটি পুণ্যার্থী জড়ো হতে পারেন মহাকুম্ভে। ইতিমধ্যেই গোটা দেশ থেকে অসংখ্য সাধু-সন্ন্যাসী পৌঁছে গিয়েছেন প্রয়াগরাজে। কুম্ভমেলা অসম্পূর্ণ নাগা সাধুদের (Naga Sadhu) ছাড়া। আমাদের অনেকের মধ্যেই বেশ কৌতুহল রয়েছে নাগা সাধুদের নিয়ে।

নাগা সাধুদের (Naga Sadhu) জীবন

তাঁদের বেশভূষা – ত্যাগী জীবন রোমাঞ্চিত করে আমাদের। অধিকাংশ নাগা সাধু (Naga Sadhu) শিব ও শক্তির উপাসক হয়ে থাকেন। পরিবার, ভোগবিলাস, যাবতীয় স্বাচ্ছন্দ ত্যাগ করে কঠিন তপস্যার মাধ্যমেই নাগা উপাধি পান একজন সাধক। ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, অষ্টম শতাব্দীতে যখন সনাতন ধর্ম ও হিন্দু মন্দিরগুলির উপর একের পর এক আক্রমণ নেমে আসছিল, তখন আদিগুরু শংকরাচার্য চারটি মঠ প্রতিষ্ঠা করেন।

আরোও পড়ুন : এসি রেস্তোরাঁতেও খেতে হবে কাগজের প্লেটে, সঙ্গে উপরি চার্জ! নন্দিনী দির দোকানে মাটন থালির দাম জানেন?

সেই মঠের মাধ্যমে শংকরাচার্য হিন্দু ধর্ম রক্ষার শপথ নেন। তিনি উপলব্ধি করেছিলেন যে শুধুমাত্র ধর্মগ্রন্থের মাধ্যমে ধর্ম রক্ষা সম্ভব নয়। তাই তিনি আখড়ার প্রচলন করেন। সেই আখড়াগুলির ধর্মের রক্ষক হিসেবেই বিবেচিত হন নাগা সাধুরা (Naga Sadhu)। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া থেকে তোলা মৃতদেহের ছাই  গায়ে মেখে নাগা সাধুরা বসে থাকেন ধুনির সামনে।

Nagha Sadhu lifestyle

আখড়ার নাগা সাধুদের মাধ্যমেই শুরু হয় কুম্ভে অমৃত স্নান। জাগতিক সব মোহমায়া ত্যাগ করে অত্যন্ত কঠিন তপস্যার ফলে নগা উপাধি পাওয়া সাধুদের সবথেকে ধার্মিক বলেই মনে করা হয়। কুম্ভে নাগা সাধুদের স্নান করার পরই স্নান করার অনুমতি পান অন্যান্য সাধু ও ভক্তরা। কুম্ভ মেলা শেষ হয়ে যাওয়ার পর নাগা সাধুরা পবিত্র মাটি দিয়ে তাঁদের দেহ মুড়ে ফিরে যান নিজেদের আশ্রমে।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর