বাংলাহান্ট ডেস্ক: বাংলাদেশের কিছু নেতার ভারত-বিরোধী ও উত্তপ্রদেশ বিচ্ছিন্নতার ডাকে পাল্টা কড়া প্রতিক্রিয়া জানালেন নাগাল্যান্ডের (Nagaland) মন্ত্রী ও বিজেপি নেতা তেমজেন ইমনা আলং। অরুণাচলে সাংবাদিকদের সামনে তিনি বাংলাদেশের নেতাদের মন্তব্যকে দায়িত্বজ্ঞানহীন আখ্যা দিয়ে বলেছেন, তাদের উচিত উত্তরপূর্ব ভারত পরিদর্শন করে বাস্তবতা নিজ চোখে দেখা। আলং ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, উত্তরপূর্বের মানুষ শান্তিপ্রিয় হলেও প্রয়োজনীয় প্রতিক্রিয়া জানাতে সক্ষম।
উত্তরপূর্ব ভারত নিয়ে বাংলাদেশকে কড়া বার্তা নাগাল্যান্ডের (Nagaland) মন্ত্রীর
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ যা বলছে, তার বেশি নিন্দা আমরা করব না। আমরা চাই তারা আসুক, দেখে যাক। আমরা বুঝে গেছি তারা কী চায়। কিন্তু তারা আমাদের হিড়িম্বা-ঘটোৎকচ দেখেনি।” তাঁর মতে, গলা কাটার হুমকির জবাব কীভাবে দিতে হয়, তা এই অঞ্চলের মানুষ জানে। আলং ‘চিকেন নেক’ শব্দটি পরিহার করে জোর দিয়ে বলেন, এই অঞ্চল শক্তভাবে ভারতের সঙ্গে যুক্ত এবং এখানকার মানুষ ভারতীয়।
আরও পড়ুন: চাকরিপ্রার্থীদের জন্য সুখবর! ডিজিটাল ইন্ডিয়া কর্পোরেশনে একাধিক পদে নিয়োগ
তিনি মন্তব্য করেন, সব বাংলাদেশিকে এক চোখে দেখা ঠিক নয়, কিছু উগ্র রাজনীতিবিদ রাজনৈতিক সুবিধার জন্য এমন মন্তব্য করেন। তবে তিনি ১৯৭১ সালের ইতিহাস স্মরণ করিয়ে দেন, যেখানে ভারতের সহায়তায় বাংলাদেশ স্বাধীনতা পেয়েছিল। তাঁর এই বক্তব্যের পটভূমিতে সম্প্রতি বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতা হাসনাত আবদুল্লাহর ভারতবিরোধী উস্কানিমূলক মন্তব্য এবং শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিক্ষোভে ভারতবিরোধী স্লোগান উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
হাদি হত্যার মূল অভিযুক্ত ফয়সল করিম এখনও পলাতক। বাংলাদেশ পুলিশের দাবি, ফয়সলের পরিবার ও সহযোগীদের গ্রেফতার করা হলেও তিনি এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে। প্রাথমিকভাবে দেশত্যাগের খবরকে গুজব বলা হলেও সাম্প্রতিক দাবি অনুযায়ী, তিনি ভারতে অনুপ্রবেশ করেছেন। এমনকি কিছু বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম অভিযুক্তের ভারতে গ্রেফতারের দাবি করেছে।

আরও পড়ুন:কোটির তালিকায়, বক্স অফিসে ঝড় তুলল ‘প্রজাপতি ২’! কোথায় দাঁড়িয়ে কোয়েল-শুভশ্রীরা?
এই পরিপ্রেক্ষিতে আলং-এর মন্তব্য কূটনৈতিক স্তরে ভারতের প্রতিক্রিয়ারই প্রতিফলন বলে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি, বাংলাদেশে চলমান ভারতবিরোধী বক্তব্য এবং পলাতক অভিযুক্ত নিয়ে বিতর্ক দুই দেশের সম্পর্কে নতুন চাপ তৈরি করেছে বলে বিশ্লেষকদের অভিমত।












