বাংলাহান্ট ডেস্ক: মধ্যরাতে অনশনরত টেট চাকরীপ্রার্থীদের (TET Agitation) উপরে পুলিসি নৃশংসতার বিরুদ্ধে সরব শিল্পী মহল। বৃহস্পতিবার রাত ১২ টার কিছু পরে করুণাময়ীতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সামনে অবস্থানরত চাকরীপ্রার্থীদের রীতিমতো টেনহিঁচড়ে তুলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিস বাহিনীর বিরুদ্ধে। এই ঘৃণ্য ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার ভিক্টোরিয়া হাউস থেকে নন্দন চত্বর পর্যন্ত ‘নাগরিক মিছিল’এ পা মেলালেন সমাজের বিশিষ্টরা।
করুণাময়ীতে চাকরীপ্রার্থীদের ৮৪ ঘন্টার শান্তিপূর্ণ অবস্থান মাত্র ১৫ মিনিটে তুলে জায়গা খালি করে দেয় পুলিস। রীতিমতো টেনেহিঁচড়ে, চ্যাংদোলা করে তোলা হয় তাদের। কারোর জায়গা হয় প্রিজন ভ্যানে, কেউ বা অসুস্থ হয়ে অ্যাম্বুলেন্সে ওঠেন। বর্বরোচিত ঘটনায় রাজ্য সরকারের নিন্দায় গর্জে ওঠে শিল্পী মহল।
শুক্রবার সকাল থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজ্য সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনায় মুখর হয়েছিলেন বুদ্ধিজীবীদের একাংশ। উঠেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি। শনিবার পথে নামলেন শিল্পী এবং বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই। ‘নাগরিক সমাজের প্রতিবাদ’ ব্যানার নিয়ে মিছিলে হাঁটেন শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার, অম্বিকেশ মহাপাত্র, কবি মন্দাক্রান্তা সেন, বিমান বসু, মহম্মদ সেলিম, আব্দুল মান্নানরা।
ছিলেন পরিচালক অনীক দত্ত, শ্রীলেখা মিত্র, বাদশা মৈত্র, রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়রাও। ছিলেন বেশ কিছু ছাত্র যুবরাও। কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দলের প্ল্যাকার্ড বা স্লোগান নয়, কালো প্ল্যাকার্ড হাতে ‘আমরা করব জয়’ গাইতে গাইতে এগোয় মিছিল। তবে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন অনেকেই।
সংবাদ মাধ্যমকে শ্রীলেখা বলেন, “তৃণমূল সরকারের পতন চাই। কিন্তু সেটা কবে হবে সেই অপেক্ষায় আছি।” তীব্র কটাক্ষ শানিয়ে মন্দাক্রান্তা সেন বলেন, ‘সবকিছুতে দুর্নীতি হচ্ছে। আর পারা যাচ্ছে না। এবার সমাজের সব স্তরের মানুষ একজোট হয়ে পথে নামতে হবে। ১৪ তলার শয়তানের কারখানা লোপাট করে দিতে হবে।’