বাংলাহান্ট ডেস্ক : ‘মান্দাসে’র পর আসতে চলেছে ‘মোচা’। তবে এখানেই শেষ নয়। ‘মোচা’র পর লাইন দিয়ে আছে আরও ঘূর্ণিঝড়। এই ঘূর্ণিঝড় গুলো কবে ঘনীভূত হবে সেই বিষয়ে স্পষ্ট কোন ধারণা নেই। কিন্তু ইতিমধ্যেই তাদের নাম স্থির হয়ে গিয়েছে। মান্দাসের পর ঠিক হয়ে গিয়েছে পরবর্তী আরও পাঁচটি ঘূর্ণিঝড়ের নাম।
নামগুলি কী কী? ‘মোচা’, ‘বিপর্যয়’, ‘তেজ’, ‘হামুন’ ও ‘মিধিলি’ এই নাম গুলি ঠিক হয়েছে মান্দাসের পর। নিয়ম অনুযায়ী এক একটি ঘূর্ণিঝড়ের নাম করে এক একটি দেশ। সেই অনুযায়ী বিভিন্ন দেশ এই নামকরণ গুলি করেছে। ইয়েমেন নামকরণ করেছে মোচার। বাংলাদেশের দেওয়া নামটি হল বিপর্যয়। এর পরবর্তী ঘূর্ণিঝড় তেজ এর নামকরণ করেছে ভারত। অন্যদিকে, ইরান ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করেছে হামুন। মিধিলি নামটি দিয়েছে মায়ানমার।
কেন গুরুত্বপূর্ণ ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ? প্রত্যেকটি ঘূর্ণিঝড়কে আলাদাভাবে চিহ্নিতকরণ করার জন্য ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয়। সংখ্যা আর ভূতাত্ত্বিক টার্মের চেয়ে সাধারণ নামকরণ করলে মনে রাখা আরও সহজ হয়। অন্যদিকে, কোন অঞ্চলে একই সাথে একাধিক ঘূর্ণিঝড় ঘনীভূত হলে সহজ নামকরণের মাধ্যমে চিহ্নিতকরণও সহজ হয়। নামকরণের সাহায্যে সহজেই সাধারণ মানুষকে সতর্ক করা যায়।
নামকরণের নিয়মঃ ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম আছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, কোন দেশকে এমন নাম বাছাই করতে হবে যা বিশ্বের কোন প্রান্তের মানুষ বা জনগোষ্ঠীর ভাবাবেগে আঘাত না করে। এছাড়াও ছোট হতে হবে এই নাম। এছাড়াও নামকরণ করার সময় খেয়াল রাখতে হবে এটি যেন উচ্চারণ করতে কোন সমস্যা না হয়। সর্বোচ্চ ৮ অক্ষর বিশিষ্ট শব্দে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা যায়।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা