বাংলাহান্ট ডেস্ক: জনতা কা সেবক—এই বার্তাকেই সামনে রেখে দেশের প্রধানমন্ত্রীর দফতরের (Prime Minister’s Office) নাম বদলে হতে চলেছে ‘সেবাতীর্থ’। রাজধানী দিল্লিতে দশকের পর দশক ধরে চলা পুরনো প্রাইম মিনিস্টার্স অফিস বা পিএমও-র স্থানান্তর ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। সরকারি সূত্রের দাবি, নতুন দফতরের কাজকর্ম শুরু হবে একটি আধুনিক কমপ্লেক্সে, যার নামকরণের মধ্যেই প্রতিফলিত হবে সরকারের মূল দর্শন—জনগণের সেবা। বায়ু ভবনের পাশেই এক্সিকিউটিভ এনক্লেভ ওয়ানের তিনটি নতুন ভবনের একটিতে গড়ে উঠছে ‘সেবাতীর্থ’। পাশাপাশি থাকা দুটি ভবনের নাম হবে ‘সেবাতীর্থ ২’ এবং ‘সেবাতীর্থ ৩’। এখানেই থাকবে ক্যাবিনেট সচিবালয় এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের দফতর।
বদলে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের (Prime Minister’s Office) নাম
সরকারি সূত্র জানিয়েছে, গত ১৪ অক্টোবর থেকেই নতুন দফতরে (Prime Minister’s Office) স্থানান্তরের কাজ শুরু হয়েছে। ক্যাবিনেট সচিব টিভি সোমনাথ ইতিমধ্যেই সেবাতীর্থ ২–এ চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ ও তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকও সম্পন্ন করেছেন। প্রশাসনিক কাজের গতি বাড়াতে এবং নীতি নির্ধারণের প্রক্রিয়াকে আরও সুনিস্কাম করতে আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন, সুরক্ষিত এবং বৃহত্তর পরিসরের এই কমপ্লেক্সটি তৈরি করা হচ্ছে সেন্ট্রাল ভিস্টা পুনর্গঠন প্রকল্পের আওতায়। আগে যে জায়গাটি ‘এক্সিকিউটিভ এনক্লেভ’ নামে পরিচিত ছিল, সেই সম্পূর্ণ কমপ্লেক্স এখন নতুন পরিচয়ে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে।
কর্তব্য, স্বচ্ছতা এবং জনসেবার প্রতিশ্রুতিকে সামনে রেখে নামকরণের এই পদক্ষেপ বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সরকারের দাবি, এই নাম পরিবর্তনের মাধ্যমে এক স্পষ্ট বার্তা দিতে চাওয়া হয়েছে—প্রশাসনের প্রথম লক্ষ্য দেশের মানুষ। তাই প্রধানমন্ত্রীর দফতর (Prime Minister’s Office) থেকে শুরু করে মন্ত্রীপরিষদ সচিবালয় পর্যন্ত প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের পরিচয়ে ‘সেবা’, ‘কর্তব্য’ এবং ‘লোককল্যাণ’—এই মূল্যবোধগুলির প্রতিফলন ঘটানো হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে সরকারের দাবি, মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা এবং কর্তব্যনিষ্ঠাই হবে শাসনের মূল ভিত্তি।
এর আগে কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যেই বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও রাস্তাঘাটের নাম পরিবর্তন করেছে। রাজভবনের নতুন নাম হয়েছে ‘লোকভবন’ এবং প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনটির নাম বদলে রাখা হয়েছে ‘লোককল্যাণ মার্গ’। কেন্দ্রীয় সচিবালয়ের নামকরণ করা হয়েছে ‘কর্তব্য ভবন’, আর ঐতিহাসিক রাজপথের নাম পরিবর্তিত হয়েছে ‘কর্তব্য পথ’-এ। এই ধারাবাহিকতার অঙ্গ হিসেবেই এবার পিএমও (Prime Minister’s Office) -র নতুন পরিচয়—‘সেবাতীর্থ’। সরকারের মতে, প্রশাসনের প্রতিটি স্তরে মানুষের জন্য কাজ করার মন্ত্রই হবে ভবিষ্যতের পথনির্দেশ।

নতুন সেবাতীর্থ কমপ্লেক্সের কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। উন্নত পরিকাঠামো, নিরাপত্তা ব্যবস্থা, আধুনিক প্রযুক্তি এবং অত্যাধুনিক সুবিধাসহ এটি সম্পূর্ণ হতে চলেছে দেশের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক কেন্দ্রগুলির এক নতুন ঠিকানা হিসেবে। সরকারি সূত্রের দাবি, নতুন পিএমও (Prime Minister’s Office) কেবল প্রশাসনিক কাজের কেন্দ্র নয়, বরং দেশের প্রতি সরকারের দায়িত্ব, কর্তব্য এবং মানুষের সেবার আদর্শের প্রতীক হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত হবে।












