বড় পদক্ষেপ রেলের! শহিদ ক্যাপ্টেনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বদলে গেল দেশের এই স্টেশনের নাম

বাংলা হান্ট ডেস্ক: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং (Jitendra Singh)-এর ঘোষণার কয়েকদিন পরই এবার উধমপুর (Udhampur) রেলওয়ে স্টেশনের নাম পরিবর্তিত হয়ে হল “শহিদ ক্যাপ্টেন তুষার মহাজন রেলওয়ে স্টেশন” (Martyr Captain Tushar Mahajan Railway Station”। গত শনিবার উত্তর রেলওয়ে, জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসনের অনুমোদনের পরেই ভারতীয় সেনাবাহিনীর এই সাহসী সৈনিককে সম্মানে জানিয়ে ওই স্টেশনের নাম পরিবর্তনের একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে।

গত শনিবার উত্তর রেলওয়ের ফিরোজপুর বিভাগ এই বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে, উত্তর রেলওয়ের ফিরোজপুর বিভাগের উধমপুর (ইউএইচপি) রেলওয়ে স্টেশনের নাম পরিবর্তন করা হচ্ছে। পাশাপাশি, ওই স্টেশনটি এখন “শহীদ ক্যাপ্টেন তুষার মহাজন” (MCTM) রেলওয়ে স্টেশন হিসাবে পরিচিত হবে। তারপরেই স্টেশনের নাম পরিবর্তন করা হয় এবং সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং।

   

এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “এরকম আগে কখনও হয়নি। এই বীররা হলেন সেই সাহসী ব্যক্তি যাঁদের নিয়ে দেশ গর্বিত। আজও রেলপথই পরিবহণের সবচেয়ে বড় মাধ্যম। এখানে প্রত্যেককে শহীদ ক্যাপ্টেন তুষার মহাজনকে স্মরণ করতে হবে। কারণ তাঁকে স্মরণ করা ছাড়া এই স্টেশনে টিকিট মিলবে না।” পাশাপাশি তিনি আরও বলেন যে, এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত এবং উধমপুরের ইতিহাসের জন্য গর্বের বিষয়।

আরও পড়ুন: পুজোর আগেই বড় উপহার, এই দিন চালু হচ্ছে গরিবের বন্দে ভারত! দিনক্ষণ ঘোষণা রেলের

এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ক্যাপ্টেন তুষার মহাজন ছিলেন ভারতীয় সেনার একজন আধিকারিক, যিনি তাঁর দায়িত্ব পালনের সময়ে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ করেছিলেন। তিনি ৯ প্যারা স্পেশাল ফোর্সেস ইউনিটের অংশ ছিলেন। যা “৯ প্যারাসুট কমান্ডো” নামেও পরিচিত। ক্যাপ্টেন তুষার মহাজন ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের উধমপুরে ১৯৮৭ সালের ২৫ মে জন্মগ্রহণ করেন।

আরও পড়ুন: একসময় এই দেশের কাছে ছিল পৃথিবীর অর্ধেক সোনা, আজ অনাহারে কাটছে দিন! কারণটা পরিস্থিতি

ক্যাপ্টেন তুষার মহাজন সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে শহিদ হন: তিনি ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার “Jammu & Kashmir Entrepreneurship Development Institute”-এর বিল্ডিংয়ে সন্ত্রাসবাদীদের হামলার সময়ে অসাধারণ সাহস ও দক্ষতা প্রদর্শন করেছিলেন। তিনি একজন সন্ত্রাসবাদীকে খতমও করেন। কিন্তু, দুর্ভাগ্যজনকভাবে তিনি ওই অপারেশনের সময়ে শহিদ হন। ক্যাপ্টেন তুষার মহাজনের তাঁর কর্তব্যের প্রতি নিঃস্বার্থ মনোভাব এবং বিপদের মুখে তাঁর সাহসিকতা প্রদর্শনের বিষয়টি মনে রেখেছেন দেশবাসী। পাশাপাশি, তিনি মরণোত্তর পুরষ্কার এবং সম্মান অর্জন করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে ভারতের সর্বোচ্চ বীরত্ব পুরস্কার শৌর্য চক্র।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর