বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নন্দীগ্রামের (Nandigram) রাজনৈতিক অঙ্কে ফের বাজিমাত করল বিজেপি। বিধানসভায় শুভেন্দু অধিকারীর কেন্দ্র, আর লোকসভায় অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের আসন নন্দীগ্রামে সমবায় নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়েও হার মানল শাসক দল তৃণমূল।
রবিবার নন্দীগ্রাম (Nandigram) ২ নম্বর ব্লকের বয়াল ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মঙ্গলচক নারায়ণচক চিরঞ্জীবপুর সমবায় সমিতিতে ভোটগ্রহণ হয়। মোট ৪২টি আসনে লড়াই করে বিজেপি। অন্যদিকে, কংগ্রেস ও তৃণমূল একজোট হয়ে ‘সমবায় ঐক্য মঞ্চ’ গঠন করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। তৃণমূল ৪১টি আসনে এবং কংগ্রেস ১টিতে প্রার্থী দেয়। সিপিআইএম সমর্থিত প্রার্থীরাও ১২ আসনে লড়াই করেন। কিন্তু ফল ঘোষণা হতেই পাল্টে যায় সমস্ত হিসেব।
নন্দীগ্রামের (Nandigram) সমবায় সমিতির ভোটে বিপুল আসনে জয়লাভ বিজেপির
শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণের পর বিকেলে ফলাফল প্রকাশিত হয়। দেখা যায়, ৪২টির মধ্যে ৩৫টি আসন দখল করেছে বিজেপি। সমবায় ঐক্য মঞ্চ জিতেছে মাত্র ৭টি আসনে। বাম সমর্থিত প্রার্থীরা কোনও আসনেই জয় পায়নি। ফলাফল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের মধ্যে উৎসবের আবহ তৈরি হয়।
বিজেপির নন্দীগ্রাম (Nandigram) ২-র ৪ নম্বর মণ্ডল সভাপতি সৌমিত্র দে বলেন, “নন্দীগ্রামের বেশিরভাগ সমবায়েই বিজেপি জিতেছে। এই সমবায় নিয়েও আমরা নিশ্চিত ছিলাম। ২০২৬ সালের বিধানসভায় নন্দীগ্রাম থেকে শুরু করে সারা বাংলায় এই জয় চলবে।” অন্যদিকে, কংগ্রেস নেতা সুকমল শেঠ দাবি করেন, “এখানে প্রতীক বা রাজনীতির লড়াই নয়। সমবায় বাঁচানোর জন্যই আমাদের জোট।” তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব অবশ্য এই ফল নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
আরও পড়ুনঃ রবীন্দ্রনাথকে অসম্মান! টিএমসিপির কর্মসূচির ভিডিও ছড়াতেই তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ সুকান্তর
নন্দীগ্রামের (Nandigram) ইতিহাসে আন্দোলনের রাজনীতি বিশেষ গুরুত্ব রাখে। সেখানে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেও বিজেপিকে হারাতে না পারায় শাসক দলের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। একের পর এক সমবায় দখল করে গেরুয়া শিবিরের সাফল্য যে আগামীতে ভোটযুদ্ধের ইঙ্গিত বহন করছে, তা স্পষ্ট।