ভরা বাজারে এক বৃদ্ধকে মারধর নন্দিনী দিদির! ভিডিও ভাইরাল হতেই কটাক্ষের ঝড় নেটদুনিয়ায়

   

বাংলাহান্ট ডেস্ক: মুঠোফোনের যুগে প্রায়শই কেউ না কেউ ভাইরাল হয়। তবে হালফিলে যিনি বাজার কাঁপাচ্ছেন তিনি হলেন নন্দিনী দিদি (Nandini Didi)। আসল নাম মমতা গঙ্গোপাধ্যায় হলেও সোশ্যাল মিডিয়া তথা ডালহৌসি চত্বরে তিনি নন্দিনী দিদি বলেই পরিচিত। সম্প্রতি এক ভাইরাল ভিডিওর (Viral Video) দৌলতে তিনিই চলে এসেছেন মিডিয়া লাইমলাইটে।

একথা সকলেই জানেন যে, অফিস পাড়ায় বাবা মায়ের সঙ্গে একটি পাইস হোটেল চালান তিনি। বিগত দু বছর ধরে ওই এলাকায় ভাতের হোটেলের ব্যবসা রয়েছে তার। যদিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে কিছুদিন আগেই। আগে যেখানে দিনে ২০-৩০ জন লোক লোক হত, এখন সেখানে প্রায় ১০০-র কাছাকাছি গ্রাহক আসে তার দোকানে। আর তার মাঝেই ঘটে গেল অঘটন।

তবে সবকিছুরই ভালো খারাপ দুটোই আছে। ভাইরাল হওয়ার পর তার উপার্জন যেমন বেড়েছে তেমনই বেড়েছে সমালোচনাও। তাই প্রশংসা যেমন আছে তেমন আছে নিন্দাও। এই যেমন সম্প্রতি তার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে দেখা যাচ্ছে, এক বৃদ্ধকে চড় থাপ্পড় মারছেন তিনি।

সম্প্রতি এক ইউটিউবার পৌঁছেছিলেন নন্দিনী দিদির দোকানে। ল্যাদখোর ফুডি নামের এক ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে তার। ভিডিওর ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘২০২৩ এসে আমাদের এখনো এরকম কেন দেখতে হবে আজ আমাদের প্রিয় নন্দিনীদিদির সাথে হয়েছে হয়তো বা এরকম অনেক মেয়ের সাথে হয়ে থাকে। কেন হলো এই রকম আচরণ নন্দিনী দিদির সাথে?’

ভিডিওর ঘটনাটি স্বাভাবিকভাবেই শুরু করে বিতর্ক। নন্দিনী দিদির এই আচরণ নিয়ে নানান মন্তব্য করতে থাকেন অনেকেই। কেউ কেউ বলেন, এরকম একজন বয়স্ক লোকের গায়ে এভাবে হাত তোলা উচিত হয়নি। আবার কেউ লিখেছেন, ‘যে যাই বলুক না কেন, এই মহিলার ব্যবহার ভালো নয়।’ তবে আসল ঘটনাটা জানা যায় অচিরেই।

খোঁজ নিতে গিয়ে জানা গেল, ঐ ব্যক্তি নাকি প্রায়শই উত্যক্ত করত নন্দিনী দিদিকে। সেদিনও এসেছিলেন এরকমই কোন বাজে উদ্দেশ্য নিয়ে। ভিডিওতেই নন্দিনী দিদিকে বলতে শোনা যায়, ‘এ এরকম রোজ করে। প্রায়ই গায়ে, পিঠে চিমটি কেটে দিয়ে চলে যায়। রোজ এখানে দাঁড়িয়ে থাকে। এই বুড়ো এবং আরো একটা লোক আছে।’ আসল ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই চুপ করেছে নিন্দুকদের দল।

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর