বাংলাহান্ট ডেস্ক: মাদক (drugs) চক্রে জড়িত থাকার সন্দেহে এবার নারকোর্টিক্স পরীক্ষা (narcotics test) করা হবে রিয়া চক্রবর্তী (rhea chakraborty) ও তাঁর সঙ্গীদের। রিয়ার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ঘেঁটে নিষিদ্ধ মাদক নেওয়ার সূত্র পেয়ে ইডি। ইতিমধ্যেই রিয়ার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের রেকর্ড সিবিআই ও নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোকে হস্তান্তর করেছে ইডি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বনিম্ন ১০ দশ বছরের কারাদন্ড হতে পারে রিয়া ও তাঁর সঙ্গীসাথীদের।
সম্প্রতি রিয়ার ট্যালেন্ট ম্যানেজার জয়া সাহা, সুশান্তের হাউস ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডা, পরিচারক দীপেশ সাওয়ান্তের সঙ্গে রিয়া চক্রবর্তীর চ্যাট প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে Hash, CBD, MDMA সহ বেশ কয়েকটি নিষিদ্ধ মাদক দ্রব্যের কথা উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে, সুশান্তকে চা, কফি, দুধ বা জলের সঙ্গে মাদক মিশিয়ে খাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন রিয়া।
এই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের ভিত্তিতে রিয়া ও অন্যান্যদের নারকোটিক্স টেস্ট করানো হবে বলে জানা গিয়েছে। শীঘ্রই সংগ্রহ করা হবে তাঁদের রক্তের নমুনা। নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে তদন্ত। রিয়া ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্স আইন বা NDPC এর আওতায় ভারতীয় দন্ডবিধির ২০বি, ২৮ সহ একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, দোষী প্রমাণিত হলে সর্বনিম্ন ১০ বছরের কারাদন্ড হতে পারে রিয়ার। অপরদিকে এই সব অভিযোগকে নস্যাৎ করে দিয়েছেন রিয়ার আইনজীবী সতীশ মানেশিন্ডে। তিনি দাবি করেছেন, রিয়া কোনওদিনও মাদক সেবন করেননি। প্রয়োজন হলে তিনি রক্তপরীক্ষা করাতেও প্রস্তুত।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ্যমের তরফে প্রকাশ করা হয়েছে রিয়া ও শ্রুতির চ্যাট যেখানে উঠে এসেছে সুশান্তের মাদক সেবনের প্রসঙ্গ। চ্যাটে দেখা গিয়েছে শ্রুতি ২ নামে সেভ করা একটি নম্বর থেকে মেসেজে বলা হয়েছে, সুশান্ত গতকাল থেকেই গাঁজা সেবন করা ছেড়ে দিয়েছেন। উনি ঘুমিয়ে পড়েছেন এবং তিনি সেদিনের মতো কাজ শেষ করছেন।
মেসেজ থেকে আরও জানা গিয়েছে, ওষুধ নেওয়ার পরও সুশান্তের সুস্থ হওয়ার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছিল না। তাঁর চিকিৎসককে চিকিৎসা করে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
অন্যান্য চ্যাট থেকে এও আভাস পেয়ে গিয়েছে রিয়া নিজেও নিষিদ্ধ মাদক সেবন করতেন। এমনকি একটি ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি থেকে পরামর্শ নিয়ে সুশান্তকেও মাদক দেওয়া শুরূ করেন তিনি।