বাংলা হান্ট ডেস্কঃ স্বাধীনতা দিবসের সকালে প্রত্যেকবারের মতো এবারও লালকেল্লা থেকে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। এদিন সকাল সাড়ে ৭টার কিছু আগে লালকেল্লা পৌঁছন পিএম। সঙ্গে ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং তিন বাহিনীর প্রধানরা। জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পরেই জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন তিনি।
প্রতিরক্ষা, স্পেস সেক্টর, চিকিৎসা ক্ষেত্র নিয়ে বড় ঘোষণা মোদীর (Narendra Modi)!
প্রধানমন্ত্রী শুরুতেই বলেন, দেশের স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিয়েছেন, ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়েও ভারত মাতার জয়গান গাওয়া বীর শহিদদের স্মরণ করা দিন আজ। বর্তমানে কৃষক, মহিলা, যুব, দলিত সহ সকলকে নিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে। স্বাধীনতার এই পর্যায়ে পৌঁছতে পেরে আমরা সৌভাগ্যবান, বলেন তিনি।
১৫ আগস্টের (Independence Day) এই ভাষণে মোদীর মুখে শোনা যায় বিকশিত ভারত ২০৪৭-এর প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, এটা কেবলমাত্র একটা ভাষণের শব্দ নয়। কোটি কোটি মানুষের পরামর্শ নেওয়া হয়েছে। ভারতবাসীর সংকল্প, স্বপ্নের প্রতিফলন রয়েছে এতে। শহর থেকে গ্রাম, যুবক থেকে বৃদ্ধ, সকলের পরামর্শ নেওয়া হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, কেউ দেশকে ম্যানুফ্যাকচারিং হাব বানানোর পরামর্শ দিয়েছেন, কেয় আবার গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির দাবি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ ‘রাত দখল’ আন্দোলন বদনাম করতেই কি আরজি করে গুন্ডাদের তান্ডব? আসল কারণ অবাক করবে!
পিএম মোদী (Narendra Modi) বলেন, ভারতবর্ষ শীঘ্রই তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে। স্বচ্ছতার অভিযান চালানোর পাশাপাশি, ১৮,০০০ গ্রাম, ১.৫ কোটি বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গেই ৩ কোটি পরিবারে জলের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। আমরা আত্মনির্ভরতার জন্য কাজ করছি। গোটা বিশ্ব ফিনটেক নিয়ে ভারতবর্ষের কাছে জানতে চায়, এতে গর্ব হয়।
আরজি কর কাণ্ড নিয়ে বর্তমানে উত্তাল দেশের চিকিৎসা মহল। স্বাধীনতা দিবসে মোদীর ভাষণেও উঠে এল নারী সুরক্ষার প্রসঙ্গ। সেই সঙ্গেই চিকিৎসা ক্ষেত্রে বড় ঘোষণা করলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ঠিক করেছি, আগামী ৫ বছরে চিকিৎসা ক্ষেত্রে ৭৫,০০০ আসন বৃদ্ধি করা হবে’।
সরাসরি আরজি করের নাম না নিয়েই এদিন নারী নির্যাতন নিয়ে মুখ খোলেন প্রধানমন্ত্রী। মোদী (Narendra Modi) বলেন, নারীদের ওপর নির্যাতন করা হচ্ছে। সরকারের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিচার করা উচিত, তদন্ত করা উচিত। গোটা দেশের ক্ষোভের আঁচ ছড়িয়ে পড়ছে। দ্রুত শাস্তির বন্দোবস্ত করতে হবে, যাতে অপরাধীদের মনে ভয়ের সঞ্চার হয়। দেশ, সমাজ, রাজ্য সরকারগুলিকে এটি গুরুত্ব সহকারে নিতে হবে, বলেন তিনি।