বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আমেরিকায় সংযুক্ত রাষ্ট্রের মহাসভা (United Nations General Assembly) অংশ নিতে যাওয়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শুক্রবার সাইপ্রাস এর রাষ্ট্রপতি নিকো আনস্তাস্লাদের এর সাথে সাক্ষাৎ করেন। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আর্মেনিয়া এর প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান এর সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। এই দুই নেতার সাথে সাক্ষাতের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কারণ আছে। শোনা যাচ্ছে যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই দুই নেতার সাথে মিলে তুর্কিকে কূটনৈতিক স্তরে জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আপনাদের জানিয়ে রাখি, সংযুক্ত রাষ্ট্রের মহাসভায় তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রেসেপ তায়িপ এরদোগান নিজের ভাষণের সময় কাশ্মীর ইস্যু তোলেন। তুরস্ক একমাত্র মুসলিম দেশ, যারা জম্মু কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়ার পর ভারতের বিরোধিতা করে পাকিস্তানের সমর্থন করেছিল। তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রেসেপ তায়িপ এরদোগান বলেন, কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী, উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জাতিসংঘে কাশ্মীর ইস্যু তোলার জন্য তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রেসেপ তায়িপ এরদোগানকে ধন্যবাদ জানায়।
সাইপ্রাস আর আর্মেনিয়া দুটোই তুরস্কের প্রতিবেশী দেশ। আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এই দুই দেশের নেতাদের সাথে কথা বলে তুরস্ককে বোঝাতে চায় যে, যদি তাঁরা পাকিস্তানের সমর্থন করে, তাহলে তাঁদের ভাষায় তাঁদেরই জবাব দিতে ভারতের এক মিনিটও সময় লাগবেনা। ইতিহাস সাক্ষী আছে যে, তুরস্কের সাথে আর্মেনিয়া আর সাইপ্রাসের সম্পর্ক কখনই ভালো ছিলনা। বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে আর্মেনিয়া তুরস্কের উপর গুরুতর অভিযোগ এনে বলে যে, তুরস্ক তাঁদের সেনা দিয়ে আর্মেনিয়ায় গণহত্যা চালাচ্ছে। ১৯৭৪ সালে তুরস্ক সাইপ্রাসে ঢুকে গেছিল, এই দুই দেশের মধ্যে একটি দ্বিপ নিয়ে অনেক বছর ধরেই চরম বিবাদ লেগে আছে।