বাংলা হান্ট ডেস্ক : ব্রিকস সামিটের (BRICS Summit) ফাঁকে কি দ্বিপাক্ষিক কোনও বৈঠকে মুখোমুখি হবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) ও চিনের (China) প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping)? মুখোমুখি তো হলো, কিন্তু মঞ্চে মোদি এক প্রকার পাত্তাই দিলেন না জিনপিংকে। তবে পরে তাঁদের মধ্যে কথা হয় বলে জানা যায়।
কী আলোচনা হল দুই রাষ্ট্রনেতার : ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে বৃহস্পতিবার দেখা গিয়েছিল, মঞ্চের দিকে এগিয়ে আসার সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কথা বলছিলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে। তাঁদের মধ্যে কী কথা হয়েছিল? এই লক্ষ টাকার প্রশ্ন দিনভর ঘোরাফেরা করেছে কূটনৈতিক মহলে। এরপর দিল্লি স্পষ্ট করল, দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে কথা বার্তার বিষয়বস্তু।তেমন কিছু না হলেও জিনপিংয়ের সঙ্গে করমর্দন করতে ও কথা বলতে দেখা গিয়েছে মোদিকে। কী কথা হল দুই রাষ্ট্রনায়কের? জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক।
কী বার্তা মোদির? বিদেশ সচিব বিনয় কওত্রা জানাচ্ছেন, জিনপিংকে সাফ বার্তা দিয়েছেন মোদি। নিয়ন্ত্রণরেখায় শান্তি বজায় রাখা কতটা দরকার, সেই বিষয়ে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী জিনপিংকে বলেছেন, ভারত ও চিনের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য নিয়ন্ত্রণরেখার সম্মান ধরে রাখা জরুরি। তিনি চিনা প্রেসিডেন্টকে বার্তা দিয়েছেন বেজিং যেন তা করে। তাহলেই সমস্যার সমাধান ঘটানো সম্ভব।
জড়িয়ে রয়েছে দুই দেশের স্বার্থ : এদিকে বেজিংয়ের তরফেও বিবৃতি জারি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, দুই রাষ্ট্রনায়ক সামিটের ফাঁকে কথাবার্তা বলেছেন। দুই দেশের সম্পর্কে কীভাবে উন্নতি ঘটানো যায়, তা নিয়ে যেমন কথা হয়েছে তেমনই কথা হয়েছে অন্যান্য বিষয়েও, যেখানে দুই দেশেরই স্বার্থ জড়িত।
অনিশ্চয়তা ছিল মোদির যোগ দেওয়া নিয়েই : ভারত, চিন, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা ও রাশিয়াকে নিয়ে প্রায় দেড় দশক আগে তৈরি হয়েছিল ব্রিকস গোষ্ঠী। মঙ্গলবার থেকে দক্ষিণ আফ্রিকায় শুরু হয়েছে সেই জোটের পঞ্চদশ শীর্ষ সম্মেলন। যা শেষ হয়েছে গতকাল বৃহস্পতিবার, ২৪ আগস্ট। প্রথমে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই সম্মেলনে যোগ দেওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছিল অনিশ্চয়তা। তবে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে জোহানেসবার্গে পৌঁছে যান মোদি। যোগ দিয়েছিলেন ব্রিকস বিজনেস ফোরামের শীর্ষ সংলাপে।