বাংলাহান্ট ডেস্ক : সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে তিনটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ফল। ফল প্রকাশের পর গেরুয়া শিবির (Bharatiya Janata Party) স্বস্তিতে রয়েছে বলাই যায়। লোকসভা নির্বাচনের আগে এই তিনটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের কাছে ছিল রীতিমত মাধ্যমিকের আগে টেস্ট পরীক্ষার মতো।
নির্বাচনী ফলাফলের দিকে চোখ রাখলে স্পষ্ট হয়ে উঠছে, নাগাল্যান্ড ও ত্রিপুরাতে বিজেপি নিজেদের ক্ষমতা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের বাইরে মেঘালয়ে নিজেদের ক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে তৃণমূল (Trinamool Congress)। গতকাল নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট ভাবে জানিয়েছেন যে তৃণমূল লোকসভা নির্বাচনে কোনও জোটের সাথে যাবে না।
বর্তমান অবস্থায় সবার মনে প্রশ্ন যে দেশের আগামী প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister) হিসেবে কাকে চাইছেন জনতা? দুটি জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম সম্প্রতি এই বিষয়টি নিয়ে একটি জনসমীক্ষা চালায়। এই সমীক্ষা অনুযায়ী জনসাধারণের কাছে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সবথেকে বেশি পছন্দ নরেন্দ্র মোদি। সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৫৮ শতাংশ মানুষ মোদির পক্ষে কথা বলেছেন।
সবথেকে উল্লেখযোগ্য কথা নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) আশেপাশে অন্য কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব স্থান পাননি। নরেন্দ্র মোদীর পর যে ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে তিনি হলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ১৯.৯ শতাংশ মানুষ রাহুলকে আগামী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান। এই পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট যে জনপ্রিয়তার বিচারে মোদির থেকে অনেকটা পিছিয়ে রাহুল।
এরপর উঠে এসেছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নাম। সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৮.৯ শতাংশ মানুষ তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) রয়েছেন তালিকার চতুর্থ স্থানে। সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৭.৪ শতাংশ মানুষ বেছে নিয়েছেন মমতাকে।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কে কতটা গ্রহণযোগ্য সেই প্রসঙ্গে যেমন সমীক্ষা হয়েছে ঠিক তেমনই পরবর্তী যোগ্য বিরোধী দলনেতা কে হতে পারেন সেই নিয়েও রাজনৈতিক মহলের অন্দরে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। এই সমীক্ষা অনুযায়ী রাহুল গান্ধী পেয়েছেন ২৮% ভোট। বহু নাগরিকই বিশ্বাস করেন রাহুল গান্ধী মোদীর সঙ্গে লড়াই করতে পারবেন। বিরোধী দলনেতা হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পেয়েছেন ১৪% ভোট।