বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বঙ্গে মুখ থুবড়ে পড়েছে বিজেপি (BJP)। দেশের চিত্রও আমূল পাল্টে গিয়েছে। ২০১৪ তারপর ২০১৯ সালে একার দমেই সরকার গঠন করার ক্ষমতা ছিল বিজেপির। তবে এবার ৪০০ পার তো দূর, এমনকি ম্যাজিক ফিগারের থেকেও অনেকে পেছনে গেরুয়া শিবির। বিজেপি পেয়েছে মাত্র ২৪০ টি আসন। ওদিকে গোটা এনডিএ (NDA) মিলে পেয়েছে ২৯২ খানা আসন। এই অবস্থায় বিজেপির ভরসা এখন শরিক দলগুলি।
বিজেপিই সরকার গড়বে তা প্রায় নিশ্চিত। তবে বিরোধীদের দাপটে সরকার ইচ্ছা মতো চালানো খুব একটা সহজ হবে না। এরই মাঝে সরকার গঠনের বিষয়ে আরও নিশ্চিত হতে চন্দ্রবাবু নাইডুকে ফোন করলেন নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ। এই চন্দ্রবাবু (N. Chandrababu Naidu) এখন জাতীয় রাজনীতিতে বড়সড় ফ্যাক্টর। গোটা খেলা ঘুরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন ইনি।
এবারের লোকসভায় চন্দ্রবাবু নাইড়ুর টিডিপির সঙ্গে এবারে বিজেপি এবং পবন কল্যাণের জনসেনা জোট বেঁধে নেমেছিল। গতকাল সামনে এসেছে অন্ধ্রপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলও। ক্ষমতাসীন ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টিকে রীতিমতো বিনাশ করে ১৭৫ আসনের বিধানসভা ভোটে টিডিপি ১৩২টি আসনে, জনসেনা ২০ আসনে, বিজেপি ৭ আসনে জিতেছে বলে খবর। আর ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টি মাত্র ১৬ আসনে জয়লাভ করেছে।
ওদিকে লোকসভা নির্বাচনেও ঝড় তুলেছে চন্দ্রবাবু নাইড়ুর টিডিপি। এই আবহে মোদীর একমাত্র ভরসা জোটসঙ্গী। তাদের সঙ্গে নিয়েই সরকার গঠন করতে হবে। ওদিকে এখন থেকেই জোট ভাঙিয়ে সরকার গঠনের চেষ্টা করবে কংগ্রেস। সেই প্রচেষ্টা শুরুও করে দিয়েছে বিরোধী দলগুলি। বুধবার ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক রয়েছে। সেখানে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সেই দিকে নজর থাকবে সকলের।
আরও পড়ুন: সোনায় সোহাগা! সামনেই টানা তিন দিন ছুটি, কবে মিলবে? দেখুন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ভ্যাকেশন লিস্ট
তবে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হতেই মোদীকে ধন্যবাদ জানিয়েছে চন্দ্রবাবু। তিনি এনডিএ জোটের সাথেই থাকছেন তা কার্যত পরিষ্কার। তবে অন্ধ্রকে আপাতত নিজেদের দিকে রেখে সরকার গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করতে চাইছে গেরুয়া শিবির। তাই পরিস্থিতি বুঝে চন্দ্রবাবুর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন মোদী। অমিত শাহও ফোন করেন চন্দ্রবাবুকে।