বাংলাহান্ট ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) সমাজমাধ্যম জনপ্রিয়তার মুকুটে নতুন পালক যুক্ত হল। জনপ্রিয়তার নিরিখে বিশ্বের শীর্ষ পাঁচ ব্যক্তির তালিকায় উঠে এল তাঁর নাম। আন্তর্জাতিক মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্ম এক্স (সাবেক টুইটার)-এ ‘মোস্ট ফলোয়ড পার্সন’ তালিকায় তিনি এখন চতুর্থ। তাঁর ফলোয়ারের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১০৮ মিলিয়ন—অর্থাৎ ১০ কোটিরও বেশি। এই মুহূর্তে ভারতীয় কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তো বটেই, বিশ্বজুড়ে রাজনীতির ময়দানে এত সংখ্যক অনুসারী আর কারও নেই।
জনপ্রিয়তার তালিকায় শীর্ষে নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ভারতের নির্বাচনী প্রচারের ইতিহাসে ২০১৪ সাল ছিল গেমচেঞ্জার। সেই সময়েই নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) প্রথম রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে সমাজমাধ্যমকে শক্তিশালী ‘কমিউনিকেশন টুল’ হিসেবে ব্যবহার শুরু করেন। যেখানে দেশের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস প্রচলিত প্রচার পদ্ধতিতে তখনও নির্ভরশীল ছিল, সেখানে মোদী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মকে তরুণ প্রজন্মের কাছে পৌঁছানোর প্রধান মাধ্যম করেন। এক্স, ফেসবুক, ইউটিউব—সব জায়গাতেই সক্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি।
আরও পড়ুন:বিদেশের বাজারে ভারতের দাপট! হু হু করে বাড়ছে রফতানি, সামনে এল বিরাট পরিসংখ্যান
সমাজমাধ্যমেই সে প্রচারের ধারাবাহিক সাফল্যের প্রতিফলন মিলল এবার। এক্স-এর ফলোয়ার তালিকার শীর্ষে রয়েছেন প্ল্যাটফর্মটির মালিক ইলন মাস্ক। দ্বিতীয় স্থানে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তৃতীয় স্থানে বিশ্ববিখ্যাত ফুটবল তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। চতুর্থ স্থানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছেন কানাডীয় গায়ক জাস্টিন বিবার। অর্থাৎ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের মধ্যে শুধু ওবামাই এগিয়ে রয়েছেন মোদীর (Narendra Modi) আগে।
তালিকায় জায়গা পেয়েছেন বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও। তিনি রয়েছেন ষষ্ঠ স্থানে অর্থাৎ মোদীর পরে (Narendra Modi)। তবে তাঁর সমাজমাধ্যম যাত্রা মোটেই সহজ ছিল না। ২০২১ সালে ক্যাপিটল হিল আক্রমণের ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে উস্কানির অভিযোগ ওঠে। সে সময় টুইটার কর্তৃপক্ষ স্থায়ীভাবে তাঁর অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করে দেয়। পরে ২০২২ সালে ইলন মাস্ক এই প্ল্যাটফর্ম অধিগ্রহণের পর ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট পুনর্বহাল হয়, এবং প্ল্যাটফর্মের নাম বদলে হয় ‘এক্স’।

আরও পড়ুন:UPI-র জালিয়াতি নিয়ে আর নেই চিন্তা! মেনে চলুন RBI-র এই ৫ টি উপায়, নিরাপদে থাকবে টাকা
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অর্জন শুধু মোদীর (Narendra Modi) ডিজিটাল প্রভাব নয়, বিশ্বমঞ্চে ভারতের ক্রমবর্ধমান ভূমিকাকেও তুলে ধরে। আন্তর্জাতিক যোগাযোগ, সরকারি প্রচার, নির্বাচন কৌশল—সবক্ষেত্রেই ডিজিটাল উপস্থিতির গুরুত্ব আজ ক্রমবর্ধমান। সেই ডিজিটাল প্রতিযোগিতায় ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর অবস্থান এত উপরে থাকা নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।
ভারতের রাজনৈতিক প্রচারের মানচিত্র বদলে দিয়েছিল ডিজিটাল বিপ্লব। আর আজ তারই প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছেন নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)—বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতাদের মধ্যে অন্যতম হিসেবে।













