বাংলা হান্ট ডেস্ক : মেধাবী পড়ুয়াদের আর চিন্তা নেই! অর্থ যাতে মেধাবী পড়ুয়াদের শিক্ষালাভের পথে বাধা সৃষ্টি করতে না পারে তার জন্যই একাধিক প্রকল্প চালু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এবার পড়ুয়াদের উচশিক্ষা লাভের পথেও আর বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে না কোনো কিছুই। মেধাবী পড়ুয়াদের জন্য এবার এমনই এক উপহার নিয়ে হাজির নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) সরকার।
পড়ুয়াদের জন্য নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) সরকারের দারুন উপহার
কোন মেধাবী পড়ুয়া যাতে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত না হয় তার জন্যই এবার চালু হতে চলেছে ‘পিএম বিদ্যালক্ষ্মী প্রকল্প’। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পেয়েছে এই প্রকল্প। কেন্দ্রীয় সরকারের (Narendra Modi) এই প্রকল্পের আওত্তায় আগামী দিনে নিম্নবিত্ত পরিবারের মেধাবী পড়ুয়ারা বিশেষ সুযোগ-সুবিধা পেতে চলেছে।
বিশেষ করে তাদের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে আর কোন চিন্তা থাকবে না। সারা দেশের নিম্মবিত্ত পরিবারের মেধাবী পড়ুয়াদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রকল্পে উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য দেওয়া হবে মোটা টাকার ঋণ। পাশাপাশি পড়ুয়ারা যাতে বিভিন্ন ধরনের বৃত্তিমূলক ক্ষেত্রে শিক্ষাগ্রহণ করতে পারেন তার জন্যও তাদের আর্থিক সাহায্য করা হবে।
মোটকথা এবার থেকে টাকার জন্য আর কোন মেধাবী পড়ুয়ার পড়াশোনা আটকে থাকবে না। বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় তথ্যমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন এই প্রকল্পের ঋণ পেতে গেলে কোন জামিনদার বা গ্যারেন্টাল লাগবে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) লক্ষ্য কোন মেধাবী পড়ুয়া যাতে বঞ্চিত না হন।’
জানা যাচ্ছে এই পিএম বিদ্যালক্ষ্মী প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৭০ টি বিভিন্ন আর্থিক সহায়তা মূলক কর্মসূচি থাকবে। কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর মেধাবী পড়ুয়াদের উচ্চশিক্ষার জন্য বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক থেকে এই লোন দেওয়া হবে। এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রত্যেক বছর মোট এক লক্ষ শিক্ষার্থী উপকৃত হবেন। তিনি জানিয়েছেন ৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক পারিবারিক আয়ের একজন পড়ুয়া মোট ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত এই শিক্ষাঋণ পাবেন। এক্ষেত্রে সুদের হার হবে মাত্র তিন শতাংশ।
কীসের ভিত্তিতে দেওয় হবে এই ঋণ?
জানা যাচ্ছে মেধাবী পড়ুয়াদের পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে এই ঋণ মঞ্জুর করা হবে। প্রসঙ্গত মোদি সরকারের এই নতুন বিদ্যালক্ষ্মী প্রকল্প চালু হওয়ার আগে পর্যন্ত যে সব ছাত্রছাত্রীদের পরিবারের বার্ষিক আয় সাড়ে চার লক্ষ টাকা, শুধুমাত্র তারাই উচ্চশিক্ষার জন্য এই কেন্দ্রীয় ঋণ পেতেন।