বাংলাহান্ট ডেস্ক: পুজোর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) রাজ্য সফর নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। এবার তা নিয়ে নিশ্চিত খবর মিলেছে। আগামী সপ্তাহে কলকাতায় (Kolkata) আসছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে তাঁর সফরে কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি নেই। বরং সেনার একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসছেন তিনি। শুধু প্রধানমন্ত্রী নন, তাঁর সঙ্গী হয়ে থাকবেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল (Ajit Doval) এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। তিনজনই ফোর্ট উইলিয়ামে (Fort William) ভারতীয় সেনাবাহিনীর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। অপারেশন সিঁদুরের পর এই সফর এবং সম্মেলন নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক মহল।
মোদির কলকাতা সফর (Narendra Modi)
প্রতিবেশী বাংলাদেশে এখনও অস্থিরতা কাটেনি। হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলা থেকে শুরু করে সীমান্ত এলাকায় মাঝেমধ্যেই অশান্তি হচ্ছে। অন্যদিকে, নেপাল সরকার বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল। চিন-ভারতের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর চিন সীমান্তে আপাতত শান্তি ফিরলেও উত্তরপূর্বের সীমান্ত সুরক্ষার ক্ষেত্রে সতর্ক দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রেখেছে কেন্দ্র। এরই মধ্যে ফোর্ট উইলিয়ামে সেনাবাহিনীর বিশেষ আয়োজনকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। ইস্টার্ন কমান্ড সূত্রে খবর, ১৫ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কলকাতার ফোর্ট উইলিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে যৌথবাহিনীর কমান্ডারদের সম্মেলন বা Combined Commanders’ Conference। সেখানে যোগ দিতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi), প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের আসার কথা নিশ্চিত হয়েছে।
আরও পড়ুন:-দেশজুড়ে ব্যান সোশ্যাল মিডিয়া! নেপালে Gen Z-এর তুমুল বিক্ষোভ, পুলিশের গুলিতে মৃত অন্তত ৯
ইস্টার্ন কমান্ডের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক গ্রুপ ক্যাপ্টেন হিমাংশু তিওয়ারি জানিয়েছেন, আগামী সোমবারের ওই অনুষ্ঠানে শুধু মোদি (Narendra Modi), রাজনাথ সিং এবং অজিত ডোভালই থাকবেন না। সেনা সর্বাধিনায়ক তথা সিডিএস জেনারেল অনিল চৌহান এবং প্রতিরক্ষা সচিব রাজেশ কুমার সিংও উপস্থিত থাকবেন। সেনাবাহিনীর সঙ্গে আলাদা করে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকও হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরপূর্বাঞ্চলের সীমান্ত সুরক্ষার জন্য এই বৈঠক বিশেষ জরুরি বলেই প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
উল্লেখযোগ্যভাবে, এই সফরে প্রধানমন্ত্রী মোদি (Narendra Modi) কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দেবেন না। শুধুমাত্র সেনা ও প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বৈঠক ও আলোচনার জন্যই তাঁর কলকাতা সফর নির্ধারিত হয়েছে। এর মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকার সীমান্ত নিরাপত্তা এবং প্রতিরক্ষা নীতি নিয়ে কতটা সচেতন, তা ফের স্পষ্ট হয়ে উঠছে।
আরও পড়ুন:-স্মার্টফোনেই হবে তথ্য সংগ্রহ! নির্ভুলভাবে ডিজিটাল জনগণনার লক্ষ্যে কেন্দ্র তৈরি করছে বিশেষ অ্যাপ
মোদির (Narendra Modi) সঙ্গে একই মঞ্চে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার উপস্থিতি সেনার কৌশলগত পরিকল্পনায় নতুন মাত্রা যোগ করবে বলেই অনুমান। পূর্বাঞ্চল থেকে উত্তরপূর্ব পর্যন্ত সীমান্ত সুরক্ষা এবং প্রতিবেশী দেশগুলির রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করাই এই সফরের মূল উদ্দেশ্য বলে জানা গেছে। তাই পুজোর আগে প্রধানমন্ত্রীর এই সফর শুধু প্রশাসনিক দিক থেকে নয়, কূটনৈতিক ক্ষেত্রেও বিশেষ তাৎপর্য বহন করছে।