বাংলাহান্ট ডেস্ক: বিশ্বনেতা নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) মুকুটে জুড়লো নতুন পালক। ভারত ও ইথিওপিয়ার দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ইতিহাসে আরও এক স্মরণীয় অধ্যায় যুক্ত হল মঙ্গলবার। ইথিওপিয়ার সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান ‘দ্য গ্রেট অনার নিশান অব ইথিওপিয়া’-এ ভূষিত হলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ আলির উপস্থিতিতে এক বিশেষ অনুষ্ঠানে এই সম্মান গ্রহণ করেন তিনি। ভারতের সঙ্গে ইথিওপিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত করা এবং বিশ্বমঞ্চে দূরদর্শী নেতৃত্বের স্বীকৃতি হিসেবেই এই পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে।
নরেন্দ্র মোদীকে (Narendra Modi) বিশেষ সম্মানে ভূষিত করল ইথিওপিয়া
ভারতের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, এই সম্মান পাওয়া বিশ্বের প্রথম রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকারপ্রধান হলেন নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। পুরস্কার গ্রহণের পর সামাজিক মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দ্য গ্রেট অনার নিশান অব ইথিওপিয়া’ সম্মান পেয়ে তিনি গর্বিত এবং এই পুরস্কার ভারতের ১৪০ কোটি মানুষের উদ্দেশে উৎসর্গ করছেন। তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে, এই স্বীকৃতি কেবল তাঁর ব্যক্তিগত অর্জন নয়, বরং ভারত ও ইথিওপিয়ার বন্ধুত্বের প্রতিফলন।
অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী (Narendra Modi) বলেন, বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন সভ্যতার দেশ ইথিওপিয়া থেকে এই সম্মান গ্রহণ করা তাঁর কাছে অত্যন্ত গর্বের বিষয়। গভীর বিনয় ও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে তিনি এই সম্মান গ্রহণ করেন এবং দুই দেশের ঐতিহাসিক সম্পর্ক, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহযোগিতার কথা তুলে ধরেন। তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট হয়, উন্নয়ন ও শান্তির প্রশ্নে ভারত ও ইথিওপিয়া একই দৃষ্টিভঙ্গি ভাগ করে নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদী (Narendra Modi) ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ আলি ও সে দেশের জনগণের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি, দেশের ঐক্য, উন্নয়ন এবং সকলকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে আবি আহমেদের নেতৃত্ব ও উদ্যোগের প্রশংসা করেন তিনি। আফ্রিকার উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতায় ইথিওপিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথাও তুলে ধরেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

আরও পড়ুন: কম খরচে অফবিট ট্রিপ! এবারের শীতে অযোধ্যা থেকে আধঘণ্টায় কুহুবুরু ভ্রমণ প্ল্যান করুন
জাতি গঠনে শিক্ষার ভূমিকার উপর জোর দিয়ে মোদী (Narendra Modi) বলেন, গত একশো বছরেরও বেশি সময় ধরে ভারতীয় শিক্ষকরা ইথিওপিয়ার শিক্ষা ও মানবসম্পদ উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন। এই দীর্ঘ সহযোগিতা দুই দেশের সম্পর্ককে আরও গভীর ও দৃঢ় করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে স্পষ্ট হয়ে ওঠে, কূটনৈতিক সম্পর্কের পাশাপাশি জনগণের সঙ্গে জনগণের সংযোগই ভারত-ইথিওপিয়া বন্ধুত্বের মূল ভিত্তি।












