বাংলা হান্ট ডেস্ক: দেশজুড়ে (India) ক্রমশ চড়ছে লোকসভা ভোটের উত্তাপ। ইতিমধ্যেই ঘোষণা হয়ে গিয়েছে নির্বাচনের দিনক্ষণ। এমতাবস্থায়, রাজনৈতিক দলগুলি জোরকদমে চালাচ্ছে প্রচার। শুধু তাই নয়, প্রচারে অংশগ্রহণ করেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও (Narendra Modi)। জানিয়ে রাখি যে, লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার আগেই পশ্চিমবঙ্গে মোট পাঁচটি জনসভা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তবে, এবার জানা গেল বড় আপডেট। মূলত, লোকসভা ভোটের মূল পর্বের প্রচারের জন্য বঙ্গে ১৪ দিন আসবেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি, তিনি অংশগ্রহণ করবেন ১৪ টি সভায়।
এমতাবস্থায়, আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর সভার পর্ব। কোচবিহারের রাসমেলা ময়দানে এই প্রথম সভাটি সম্পন্ন হয়। এদিকে, বিজেপির শীর্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে যে, হিসেব অনুযায়ী ৩ টি করে লোকসভা পিছু ১ টি করে সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। জানিয়ে রাখি যে, গত বছরের লোকসভা ভোটের ফলাফলের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, উত্তরবঙ্গেই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক আসন পেয়েছিল বিজেপি।
শুধু তাই নয়, একদম দার্জিলিং থেকে শুরু করে মালদহ উত্তর পর্যন্ত ৭ টি লোকসভাই নিজেদের দখলে রেখেছিল গেরুয়া দল। এমতাবস্থায়, চলতি বছরের লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে তাই প্রচারের কোনো খামতি রাখা হচ্ছে না। আর সেই কারণেই বঙ্গে প্রথম তিন দফার ভোটে উত্তরবঙ্গে পর্যাপ্ত সংখ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সভা সম্পন্ন হবে। জানা গিয়েছে যে, এরমধ্যে চার থেকে পাঁচটি সভা হতে পারে উত্তরবঙ্গে। এছাড়াও, বহরমপুরে অর্থাৎ অধীর চৌধুরীর এলাকায় প্রধানমন্ত্রীর সভার আয়োজনের পরিকল্পনা করছে বিজেপি।
যদিও, বিজেপির পরিকল্পনায় রয়েছে বড় চমকও। সেক্ষেত্রে, একদম শেষ দফার নির্বাচনকে বেশ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। মূলত, সপ্তম তথা শেষ দফায় নির্বাচন সম্পন্ন হবে দুই চব্বিশ পরগনা এবং কলকাতাতে। সূত্র অনুযায়ী জানা গিয়েছে, বিজেপি এটা ধরে নিয়েছে যে, দক্ষিণ ২৪ পরগণায় তারা হয়তো একটিও আসন জিততে পারবেনা। যদিও, উত্তর ২৪ পরগনা এবং কলকাতাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এমতাবস্থায়, দমদম থেকে শুরু করে বারাসাত, বনগাঁ এবং উত্তর কলকাতার আসনে জমি ছাড়তে নারাজ বিজেপি।
আরও পড়ুন: সৌদি চাইছেনা পাকিস্তানের শ্রমিক! অসহায় অবস্থা পড়শি দেশের, ভারতের কাছে হেরে যাওয়ার ভয় পাক বিশেষজ্ঞের
এদিকে, বিজেপির প্রার্থী ঘোষণার পরেই জানা গিয়েছে যে উত্তর কলকাতার আসনে সদ্য তৃণমূল থেকে পদ্ম শিবিরে যোগদান করা প্রবীণ নেতা তাপস রায় কে প্রার্থী করা হয়েছে। এদিকে, উত্তর কলকাতায় তাপসের যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। যদিও, জানা যাচ্ছে যে এই আসনের জন্য প্রধানমন্ত্রী কোনো সভা না করলেও সিঁথির মোড় থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার রোড শো করতে পারেন তিনি। এদিকে, দক্ষিণ কলকাতা বা যাদবপুরের জন্যও প্রধানমন্ত্রীর কোনো সভা নাও হতে পারে। কিন্তু, সেখানে প্রচারের জন্য মাঠে নামতে চলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
জানা গিয়েছে, হাজরা মোড় থেকে দক্ষিণ শহরতলিতে সম্পন্ন হতে পারে তাঁর রোড শো। তবে, লোকসভা নির্বাচনের আগে বঙ্গে প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও অন্যান্য রাজ্য থেকেও বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বরা প্রচারের কাজে বঙ্গে আসতে পারেন। সেই তালিকায় অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা থেকে শুরু করে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, রবি কিষাণ এবং স্মৃতি ইরানিরা বাংলায় সভার জন্য আসবেন।