বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর (Subhas Chandra Bose) পরিবারের এক ঘনিষ্ঠ শুক্রবার দিন জানান, পিভি নরসিমহা রাও-র (P. V. Narasimha Rao) সরকার ১৯৯০-র দশকে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর অস্থি জাপান থেকে ভারতে ফিরিয়ে আনতে চেয়েছিল।
তিনি জানান, নরসিমহা সরকার এই কাজ করার শেষ পর্যায়ে চলে গিয়েছিল, কিন্তু গোয়েন্দা রিপোর্ট পাওয়ার পর পদক্ষেপ পিছিয়ে নেয়। তিনি জানান, ওই রিপোর্টে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল যে নেতাজি সুভাষ চন্দ্রের অস্থি ভারতে আনা হলে কলকাতায় দাঙ্গা হতে পারে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ইন্দো-জাপান সামুরাই সেন্টার আয়োজিত সেমিনারে প্রাক্তন সাংসদ তথা হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাসাগরীয় ইতিহাস বিষয়ক গার্ডিনার চেয়ারের অধ্যাপক সুগত বসু বলেন, নেতাজির মৃত্যু নিয়ে অর্থহীন বিতর্ক এখন শেষ হওয়া উচিৎ। উনি বলেন, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্রিম পংতিতে থাকা একমাত্র নেতা ছিলেন, যার মৃত্যু রণভূমিতে হয়েছিল।
অন্যদিকে, লেখক তথা নেতাজিকে নিয়ে গবেষণা করা আশিস রায় ১৯৪৫ সালে জাপানের টোকিও শহরের বৌদ্ধ মঠ রেনকোজি মন্দিরে থাকা সুভাষ চন্দ্র বসুর অস্থি ভারতে ফিরিয়ে আনার দাবি জানান। উনি বলেন, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর অস্থির আইনি অধিকার ওনার মেয়ে অনিতা বসু পাফ-র থাকা উচিৎ। ভারত সরকারকে সেই অস্থি প্রাপ্ত করার জন্য অনুমতি দেওয়া উচিৎ। বলে দিই, অনিতা বসু পাফ অর্থশাস্ত্রের প্রোফেসর বর্তমানে তিনি জার্মানিতে থাকেন।