বাংলাহান্ট ডেস্ক : মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে হিংসার ঘটনায় অনেকেই ঘরছাড়া হয়েছেন। আতঙ্কে নিজেদের ভিটেমাটি ছেড়ে অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন মালদহের বৈষ্ণবনগরের আশ্রয় শিবিরে। সম্প্রতি তাদের সঙ্গে কথা বলতে রাজ্যে আসেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এবং জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা। আতঙ্কিত মহিলাদের থেকে সরাসরি সবটা শুনে কার্যত হতভম্ব কমিশনের চেয়ারপার্সন বিজয়া রাহাতকর।
মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ঘরছাড়াদের সঙ্গে কথা বলতে রাজ্যে জাতীয় মহিলা কমিশন
জানা যাচ্ছে, ঘরছাড়া মহিলাদের সঙ্গে কথা বলে তিনি জানিয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে যা যা হয়েছে সবটাই তাঁরা তাঁকে জানিয়েছেন। এমনকি তিনি বলেন, মহিলাদের সঙ্গে কীভাবে এমনটা হতে পারে! তাঁরা যা বলেছেন তা কল্পনারও বাইরে। যৌন নিপীড়ন পর্যন্ত হয়েছে তাঁদের সঙ্গে। তিনি কথা বলেছেন তাঁদের সঙ্গে, আরো বলতে হবে।
কী জানালেন মহিলারা: জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য অর্চনা মজুমদার দাবি করেন, মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) থেকে ঘরছাড়া হওয়া মহিলারা চাইছেন কেন্দ্রীয় বাহিনী। দুষ্কৃতীরা নাকি তাঁদের বলেছিল, বাড়িতে থাকলে ধর্ষণ হয়ে যাবি। চলে যা। মহিলারা সম্মান নিয়ে বাঁচতে চাইছেন। তিনি অভিযোগ করেন, ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাঁরা যা যা করার করবেন।
আরো পড়ুন: ‘ব্রাহ্মণদের উপরে আমি…’ অত্যন্ত আপত্তিকর মন্তব্য অনুরাগ কাশ্যপের! FIR দায়ের হল পরিচালকের বিরুদ্ধে
মুখ খুললেন অগ্নিমিত্রা পাল: জাতীয় মহিলা কমিশনের রাজ্যে আসা নিয়ে মুখ খোলেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। তিনি বলেন, গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা উচিত তাঁদের। মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) যা ঘটছে তা পুরো দেশ দেখছে। জিহাদিরা সনাতনীদের ঘরবাড়ি, দোকানপাট পুড়িয়ে দিচ্ছে। এটা কি সিরিয়া, পাকিস্তান, আফগানিস্তান? এনআইএ তদন্তের প্রয়োজন। মানুষের জানা উচিত যে ঠিক কী ঘটেছিল এবং মুখ্যমন্ত্রীর কী ভূমিকা ছিল।
আরো পড়ুন :বিয়ের রাত কাটতেই ইকো পার্কে দিলীপ, রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে জানিয়ে দিলেন বড় ‘সিদ্ধান্ত’
প্রসঙ্গত, শুক্রবার বৈষ্ণবনগরে আশ্রয় শিবিরে ঘরছাড়াদের সঙ্গে কথা বলতে যান জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা। তাঁদের সামনে পেয়ে ক্ষোভ, আতঙ্ক উগরে দেন আশ্রয় নেওয়া মানুষজন। তাদের অভিযোগ, জোর করে তাদের নিয়ে যাওয়া হবে বলা হয়েছে। ভয়ে কেউ নাকি সারারাত ঘুমাতে পারেননি শিবিরে। অনেকেরই ভিটেমাটি কিছুই নেই। তাহলে কোথায় নিয়ে যাবে? আতঙ্ক গ্রাস করেছে ঘরছাড়াদের। বিগত কয়েক দিনে বারে বারে ঘুরেফিরে এসেছে দুটি নাম, সুতি আর ধুলিয়ান। অশান্তির আগুনে এখানে একের পর এক বাড়ি পুড়েছে। লুঠ হয়েছে চাল ডাল থেকে সোনাদানা সবকিছুই। এমনকি ছাগল পর্যন্ত তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তিনজনের মৃত্যু হয়েছে হিংসার ঘটনায়।