বাংলাহান্ট ডেস্ক : এবার বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসতে চলেছে হাইওয়ে রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে। হাইওয়ে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বড় পরিবর্তন আনতে চলেছ ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (National Highway Authority of India)। নতুন এক ধরনের অ্যাসফল্ট ব্যবহার করা হবে এই প্রযুক্তিতে। এই প্রযুক্তির ফলে রাস্তার গর্ত বুজে যাবে নিজে থেকেই।
ইস্পাত ফাইবার এবং বিটুমিনের সাথে মিশ্রিত করা হবে এই উপাদান। রাস্তায় যদি কোনও গর্ত দেখা যায় তাহলে বিটুমিন নিজে থেকেই ছড়িয়ে পড়বে তা বুজিয়ে দেওয়ার জন্য। ইস্পাতের থ্রেড (সুতো) এর সাথে রাস্তার গর্ত পূরণ করবে। ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়া বলছে, এই প্রযুক্তির ফলে রাস্তার যেকোনো প্রান্তের গজিয়ে ওঠা গর্ত নিজে থেকে ঢেকে যাবে।
আরোও পড়ুন : পর্যটকদের জন্য দুঃসংবাদ! ৩ দিন বন্ধ ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক, কালিম্পং-সিকিম যেতে ধরতে হবে এই রুট
এর ফলে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা কমবে। কমে যাবে দুর্ঘটনায় প্রাণহানির সংখ্যা। তবে এই অটোমেটিক সারাই পদ্ধতিতে কতক্ষণ লাগবে রাস্তার গর্ত পূরণ হতে সেই ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি। এক সরকারি আধিকারিকের কথায়, এখনো পর্যন্ত খুব একটা প্রচলিত হয়নি এই প্রযুক্তি। তবে বেশ কার্যকরী এই পদ্ধতি।
আরোও পড়ুন : উত্তাল সমুদ্র! রাতেই বৃষ্টি শুরু দক্ষিণবঙ্গের ৭ জেলায়, রবিতে উঠবে ৫০ কিমি বেগে কালবৈশাখী ঝড়
আমরা ভাবছি এই টেকনোলজি ব্যবহার করে রাস্তার স্থায়িত্ব বৃদ্ধি করতে। এই প্রযুক্তিটি অত্যন্ত সহায়ক হবে বলে আশা রাখি। বিমানবন্দরের রানওয়ে, পার্কিং লট, ড্রাইভওয়ে, ফুটপাথ এবং হাইওয়ে তৈরির কাজে ব্যবহার করা হয় অ্যাসফল্ট। এই অ্যাসফল্ট পরিবেশবান্ধব একটি পদার্থ যা অত্যন্ত মসৃণ পথের অভিজ্ঞতা দিয়ে থাকে।
এছাড়াও অন্যান্য বেশ কিছু উপাদান মেশানো হয় এর সাথে। বিশেষ ট্রাকে করে নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে দেওয়া হয় গরম অ্যাসফল্ট। তারপর যন্ত্রপাতির সাহায্যে সেটিকে ঠান্ডা করা হয়। পরবর্তীকালে বিটুমিন ক্ষয়প্রাপ্ত হলে রাস্তায় গর্তের সৃষ্টি হয়। তবে নতুন প্রযুক্তি দিয়ে এই সমস্যা মোকাবেলা সম্ভব।