বাংলা হান্ট ডেস্ক : ভোপাল-উজ্জয়িনী প্যাসেঞ্জার ট্রেনে (Bhopal-Ujjain Passanger Train) বিস্ফোরণের অভিযোগে সাতজনকে মৃত্যুদণ্ড দিল এনআইএর (NIA) বিশেষ আদালত। এই ঘটনায় মোট অভিযুক্ত ছিল ৮ জন। আইসিস জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্য সকলের বিরুদ্ধেই মঙ্গলবার সাজা ঘোষণা করে বিশেষ আদালত। অভিযুক্তদের মধ্যে ইতিমধ্যেই একজনের মৃত্যু হয়েছে।
২০১৭ সালের ৭ মার্চ ভোপাল থেকে উজ্জয়িনীগামী ট্রেনে বিস্ফোরণ ঘটায় আইসিস জঙ্গিরা। মধ্যপ্রদেশের জাবরি স্টেশনে বোমা বিস্ফোরণে আহত হন ১০ জন। ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিস। সঙ্গে সঙ্গেই গ্রেপ্তার হয় ৮ জন। পুলিসের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয় আরেক জঙ্গির। আট জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে উত্তরপ্রদেশ এটিএস।
এক বছর পরেই আটজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে এনআইএ। দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার অভিযোগ আনা হয় তাদের বিরুদ্ধে। তাছাড়াও জাকির নায়েকের ভিডিও দেখিয়ে তরুণ প্রজন্মকে জেহাদি কার্যকলাপে উৎসাহ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে অস্ত্র উদ্ধার করা হয় ধৃত আইসিস (ISIS) জঙ্গিদের থেকে।
অবশেষে মঙ্গলবার গভীর রাতে আটজনের সাজা ঘোষণা করে এনআইএর বিশেষ আদালত। মহম্মদ ফয়সল, গউস মহম্মদ খান, মহম্মদ আজহার, আতিফ মুজফফর। মহম্মদ দানিশ, সৈয়দ মির হুসেন ও আসিফ ইকবাল- সকলকেই প্রাণদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। একমাত্র আতিফ ইরানিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
এনআইএ আদালতে বিচারক ভি এস ত্রিপাঠী মন্তব্য করেন, এই ঘটনা বিরলের মধ্যে বিরলতম। এর জন্যই অভিযুক্তদের চরম সাজা পাওয়া উচিত। আদালত গত ২৪ ফেব্রুয়ারি অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করেছিল। ওইদিনই আদালত বলেছিল, মঙ্গলবার সাজা ঘোষণা করা হবে। সেইমতোই অভিযুক্তদের সাজার কথা ঘোষণা করা হয় মঙ্গলবার।
অভিযুক্তদের তরফে বলা হয়, ইতিমধ্যেই তারা পাঁচ বছর বন্দিদশা কাটিয়ে দিয়েছে। কাজেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের ক্ষেত্রে তাদের সাজার মেয়াদ কমিয়ে দেওয়া হোক। সেই দাবিকে খারিজ করেই আদালত বলেন, অভিযুক্তরা দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল। কাজেই তাদের সাজার ক্ষেত্রে কোনও নরম মনোভাব দেখানো যাবে না।