বাংলা হান্ট ডেস্ক : রামনবমীতে পশ্চিমবঙ্গে বিক্ষিপ্ত বিশৃঙ্খলার ঘটনায় এনআইএ (NIA) তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এবং আরও কিছু মামলা দায়ের হয়েছিল। এই মামলাগুলির প্রেক্ষিতে এনআইএ-র হাতে তদন্তভার তুলে দিয়েছিল হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয় রাজ্য।
রামনবমীর মিছিল ঘিরে হাওড়ার শিবপুর, হুগলির রিষড়া, উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলা-সহ কয়েকটি এলাকায় হিংসার ঘটনা নিয়ে গত ২৭ এপ্রিল এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ রায় দেয়, আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে এ সংক্রান্ত সমস্ত নথি এনআইএ-কে হস্তান্তর করতে হবে।
কিন্তু সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। শীর্ষ আদালতের কাছে রাজ্যের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির যুক্তি ছিল, জনস্বার্থ মামলায় তদন্তের ভার এনআইএ-কে দেওয়া যায় না। দেশের নিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা ছাড়া সাধারণ হিংসার মামলায় এনআইএ আইন প্রয়োগ করা যায় না বলেও বৃহস্পতিবার শুনানিতে দাবি করেছিলেন তিনি।
যদিও এনআইএ-র পক্ষ থেকে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান, হিংসার ঘটনায় তদন্ত করার জন্য পুলিস আধিকারিকদের বয়ান প্রয়োজন। আর সেই বয়ান সংগ্রহ করার জন্যই তলব করা হচ্ছে তাঁদের। পাশাপাশি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা যাতে না করা হয় সেই প্রসঙ্গে যে আর্জি জানানো হয়েছিল তার বিরুদ্ধে সরব হন তুষার মেহেতা।
রাজ্য এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। এবার, সেখানেও ধাক্কা খেল রাজ্য। রামনবমীতে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়িয়েছিল হাওড়ার শিবপুর, রিষড়া সহ বিভিন্ন অংশে ছড়িয়েছিল উত্তেজনা। এই ঘটনায় বিজেপি-র দিয়ে অভিযোগের আঙুল তুলেছিল তৃণমূল। পালটা সরব হয় বিজেপি-ও।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা