‘সেনার নজরদারি না থাকলে মহমেডানের জমি বিক্রি হয়ে যেত’, বিস্ফোরক অভিযোগ নওশাদ সিদ্দিকীর

Published on:

Published on:

Naushad Siddiqui attacks management over Mohammedan Sporting crisis

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একসময় কলকাতার তিন বড় ক্লাবের এক ছিল মহমেডান স্পোর্টিং। মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে সমান জনপ্রিয়তা ছিল এই ক্লাবের। কিন্তু এখন ক্লাবটি চরম আর্থিক সমস্যায় ভুগছে। বিনিয়োগকারী পাওয়া যাচ্ছে না। ক্লাবের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। এই অবস্থায় ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী (Naushad Siddiqui) সরাসরি আক্রমণ করলেন ক্লাবের ম্যানেজমেন্ট ও রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে।

ম্যানেজমেন্টের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন নওশাদের (Naushad Siddiqui)

সমর্থকদের সঙ্গে দেখা করার পর নওশাদ (Naushad Siddiqui) বলেন, “পেমেন্ট কারা খেয়েছে, সেটা সবাই জানে। সব দোষ ইনভেস্টরদের ঘাড়ে চাপানো যাবে না। সেনার নজরদারি না থাকলে ক্লাবের জায়গা বিক্রি করে দিত কিছু লোক। প্রোমোটিং করে দিত। মহমেডানের ঐতিহ্য ধ্বংস করছে তারা।” তিনি আরও বলেন, “সমর্থকরা এগিয়ে আসুন। এই অচলাবস্থা থেকে ক্লাবকে বের করে আনতে হবে।”

নওশাদের (Naushad Siddiqui) অভিযোগ, “মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল, মহমেডান, এই তিনটি ক্লাব শুধু রাজ্যের নয়, দেশের ঐতিহ্য। কিন্তু এখন মহমেডান এত খারাপ অবস্থায় কেন? এর দায় সরকার, শাসকদল আর ম্যানেজমেন্ট, তিন পক্ষেরই।” তিনি বলেন, “রাজনীতি একটা সীমা পর্যন্ত হওয়া উচিত। এখন ক্লাবের চেয়ার দখল করতেও রাজনীতি ঢুকে পড়েছে। এজন্যই বিনিয়োগকারীরা আসতে ভয় পান। কেউ যদি কাটমানি চায়, তাহলে কে বিনিয়োগ করবে?”

নওশাদ সিদ্দিকীর (Naushad Siddiqui) বক্তব্য, “ম্যানেজমেন্ট যদি দায়িত্ব ছাড়ে, আমরা ক্লাবের দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত। মহমেডান আবার মাঠে দাপট দেখাবে, যেমন মোহনবাগান আর ইস্টবেঙ্গল করছে।” তিনি আরও বলেন, “মহমেডানের গৌরব ফিরিয়ে আনতে হলে রাজনীতি সরিয়ে রেখে সত্যিকারের ফুটবলপ্রেমীদের ক্লাবের হাল ধরতে হবে।”

Naushad Siddiqui attacks management over Mohammedan Sporting crisis

আরও পড়ুনঃ পার্থর ‘আসনে’ বসবেন শোভন? বেহালায় পোস্টার জল্পনার মাঝেই বিজেপি বলল, ‘এটা বৈশাখীদির জয়’

মহমেডানের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও আবেদন জানিয়েছেন আইএসএফ বিধায়ক। তিনি বলেন, “মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের সমস্যায় মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে পাশে থেকেছেন, তেমনভাবে মহমেডানের জন্যও এগিয়ে আসুন। মহমেডানের সঙ্গে ছাগলের তৃতীয় সন্তানের মতো ব্যবহার করা হচ্ছে।” তবে নওশাদ সিদ্দিকীর (Naushad Siddiqui) সমালোচনার জবাব দিতে চাননি মহমেডানের কর্তা মহম্মদ কামারউদ্দিন।