বাংলাহান্ট ডেস্ক: দেশের স্বাধীনতা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় কঙ্গনা রানাওয়াতের (kangana ranawat) বিরুদ্ধে ক্ষোভ ক্রমেই বাড়ছে। পাশাপাশি কৃষক আন্দোলনকে ‘খালিস্তানি বিদ্রোহ’র তকমা এবং শিখ সম্প্রদায়ের মানুষদের ‘সন্ত্রাসবাদী’ আখ্যা দেওয়ায় এফআইআরও দায়ের হয়েছে কঙ্গনার বিরুদ্ধে। এবার মহারাষ্ট্র সরকারের মন্ত্রী নবাব মালিক (nawab malik) অভিনেত্রীকে সতর্ক করলেন, কেউ আইনের উর্দ্ধে নয়।
সংবাদ সংস্থা ANI কে তিনি বলেন, “যেভাবে কঙ্গনা রানাওয়াত সবাইকে অপমান করছেন, আমাদের জাতির জনককে অপমান করছেন, বলছেন আজাদি নাকি নকল ছিল আর আমরা ভিক্ষুক ছিলাম, নানান সম্প্রদায়ের ভাবাবেগকেও আঘাত করছেন তিনি।”
তিনি আরো বলেন, “কাউকে বলছেন ‘সন্ত্রাসবাদী’, কাউকে বলছেন ‘মশা’, এটা মেনে নেওয়া যায় না। কেউই আইনের উর্দ্ধে নয়। ওঁর Z সিক্যুরিটি আছে কিনা তাতে কিছু যায় আসে না। সিক্যুরিটি কখনো আইনকে রুখতে পারে না। ব্যবস্থা ঠিকই নেওয়া হবে।” উল্লেখ্য, গত বছরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে Y+ সিক্যুরিটি দেওয়া হয়েছিল কঙ্গনাকে। হিমাচল প্রদেশের বিজেপি সরকারের কাছে তাঁর বাবা আবেদন করেছিলেন মেয়ের সুরক্ষার জন্য।
শিখ সম্প্রদায়কে অপমানের অভিযোগে কঙ্গনার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে দিল্লি শিখ গুরুদ্বারা ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি। মন্দির মার্গ পুলিস স্টেশনের সাইবার শাখায় দায়ের হয় অভিযোগ। অভিযোগ বলা হয়েছে, ‘ইচ্ছাকৃত’ ভাবে এবং ‘জেনেশুনে’ কৃষক আন্দোলনকে ‘খালিস্তানি বিদ্রোহ’এর নাম দিয়েছিলেন কঙ্গনা।
শিখ সম্প্রদায়কে ‘খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদী’ বলেছেন তিনি এবং ১৯৮৪ সাল ও তার আগে যে শিখদের গণহত্যা হয়েছিল তা ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর পরিকল্পনা মাফিক হয়েছিল বলেও মন্তব্য করেছেন কঙ্গনা। অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে কঙ্গনা লিখেছিলেন, ‘খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদীরা হয়তো আজ সরকারের উপরে চাপ সৃষ্টি করছে। কিন্তু একজন মহিলাকে আমাদের ভুলে গেলে চলবে না। একজনই মহিলা প্রধানমন্ত্রী এদের জুতোর নীচে পিষে মেরেছিলেন। দেশকে যতই দুর্দশায় ফেলুন না কেন, নিজের প্রাণের বিনিময়ে তিনি এদের মশার মতো পিষে মেরেছিলেন তিনি। কিন্তু দেশকে টুকরো টুকরো হতে দেননি। তাঁর মৃত্যুর কয়েক দশক পর এখনো তাঁর নামে কেঁপে ওঠে এরা। এদের এমনি গুরু চাই।’