বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গ্রেফতারির দীর্ঘ ৪০ দিন পর গত ২ মার্চ কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে জামিন পেয়েছেন ভাঙড়ের (Bhangar) বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকি (MLA Nawsad Siddique)। জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর রবিবার প্রথম বারের জন্য ভাঙড়ে পা রেখে শাসকদলকে কড়া ভাষায় হুমকি দিলেন আইএসএফ নেতা।
এদিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন নওশাদ। তৃণমূলকে ঝাঁঝালো আক্রমণ করে বলেন, ”পঞ্চায়েত ভোটে শাসক শূন্য হয়ে যাবে ভাঙড়। যে দুর্নীতি অনাচারের শিকার হয়েছে ভাঙড়ের মানুষ এবার তারাই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সেই অন্যায়ের জবাব দেবে।”
এরপরেই শাসকদলের উদ্দেশ্যে ক্ষোভ উগরে দেন বিধায়ক। জোর গলায় বলেন, ”আমাকে ভয় পায় বলে স্পেশাল অবজারভার রাখা হয়েছে। স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই অবজারভার হলে আরও বেশি ভালো লাগত। তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব সিন্ডিকেট, জলাজমি ভরাট ও সরকারি টাকা মারার জন্য গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব হয়। আমরা এইসব দুর্নীতি বন্ধ করব।”
নিজের গ্রেফতারি নিয়েও এদিন মুখ খোলেন বিধায়ক। বলেন,”শুধুমাত্র আমাকে বদনাম করার জন্য চক্রান্ত করে জেলে রাখা হয়েছিল। কর্মী সহ ভাঙড়ের মানুষের এই উচ্ছ্বাস আমাকে শক্তি জোগাচ্ছে। বিগত দেড় মাস ধরে মানুষ কে যে পরিষেবা দিতে পারিনি আজ অফিসে গিয়ে সেই পরিষেবা দেওয়ার কাজ শুরু করব।” সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগের কথা শুনে তা সাধ্যমতো সমাধানের আশ্বাসও দেন বিধায়ক।
এদিন হাতিশালা হয়ে ভাঙড়ে প্রবেশ করেন নওশাদ। সেই জায়গা যা কিছুদিন আগে রণক্ষেত্রের এ
রূপ ধারণ করেছিল। কোনোরকম অশান্তি এড়াতে এদিন বিধায়কের গাড়ি বিশাল পুলিশ বাহিনী দিয়ে ঘেরাও ছিল। এদিন বিধায়ক ভাঙড়ে পৌঁছতেই তাকে ফুলের মালা পরিয়ে, ফুল বৃষ্টিতে সাদরে স্বাগত জানানো হয়। মুক্তির পর প্রথমবারের জন্য নওশাদকে ভাঙড়ে দেখে আইএসএফ কর্মী-সমর্থকদের উচ্ছ্বাস ছিল নজর কাড়ার মতো।