বাংলা হান্ট ডেস্ক : ভারত-মালদ্বীপ (Maldives) বিতর্কের মাঝে দেশবাসীর চোখ এখন লাক্ষাদ্বীপের (দিকে। একদিকে যেখানে ভারত সরকার এই কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা করছে সেখানে রীতিমত আতঙ্কে ভুগছে মালদ্বীপ। ভারতীয় পর্যটকরা গণহারে মালদ্বীপ বয়কট করায় বেশ সময়স্যায় পড়েছে দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপ। আর এবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে করা কটূক্তির জবাব দিতে সরব হয়েছে গোটা দেশ। আম জনতা থেকে সেলিব্রেটি, ক্রিকেট স্টার, কমবেশি সকলেই নিজের নিজের মতামত জাহির করেছে। আর এবার সরব হল এদেশের বিরোধীদের একাংশও। এইদিন খোলাখুলি মোদীর পক্ষ নিয়ে বলেন, ‘দেশের বাইরে থেকে প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে কোনও কটুকথা বরদাস্ত করব না।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগেই লাক্ষাদ্বীপ (Lakshadweep) সফরে গেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একাধিক প্রকল্প উদ্বোধনের পাশাপাশি লাক্ষাদ্বীপের সৌন্দর্যকেও সকলের সামনে তুলে ধরেছেন তিনি। ছবি ভাইরাল হতেই মালদ্বীপের একাধিক মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ শুরু করেন। এক্স হ্যান্ডেলে তাকে ‘ভাঁড়’, ‘হাতের পুতুল’ বলে তোপ দাগেন মালদ্বীপের যুবকল্যাণ মন্ত্রী মারিয়ম শিউনা।
আরও পড়ুন : মুখ পুড়ল রাজ্যের! সন্দেশখালি ঘটনায় ED-র পাশে হাইকোর্ট, এল বড় বয়ান
মন্ত্রীর সমর্থন জানিয়ে পোস্ট করেন আরও দুই মন্ত্রী মালশা শরিফ ও মাহজুম মাজিদ। দ্বীপরাষ্ট্র থেকে প্রধানমন্ত্রীর নামে কুৎসা ভেসে আসতেই একসাথে গর্জে ওঠে গোটা দেশ। গণহারে মালদ্বীপ সফর বাতিল করেন ভারতীয় পর্যটকরা। এমন একটা পরিস্থিতিতে বিরোধী শিবির বেশ চিন্তায়। বাকি ভারতীয়দের মত দেশের হয়ে গলা ফাটাবেন নাকি এখনও মোদী বিরোধীতা করবেন তা নিয়েই শুরু হয়েছে দ্বন্দ্ব।
আর এসবের মাঝেই শরদ পওয়ার (Sharad Pawar) বলেন, ‘উনি আমাদের প্রধানমন্ত্রী। আর আমাদের উচিত প্রধানমন্ত্রীর পদকে সম্মান করা। অন্য দেশ থেকে কেউ যদি প্রধানমন্ত্রীর সম্পর্কে কোনও আপত্তিকর মন্তব্য করে, তাহলে সেটা আমরা বরদাস্ত করব না। দেশের বাইরে থেকে প্রধানমন্ত্রীর অপমান বরদাস্ত নয়।’ অর্থাৎ NCP সুপ্রিমোর সাফ বক্তব্য, রাজনীতি অন্য জায়গায় এবং দেশের সম্মান অন্য জায়গায়।
আরও পড়ুন : দীর্ঘ তিন দশক ধরে নীরব, রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন রামের নামেই মৌনব্রত ভাঙবেন ‘মৌনী মাতা’
যদিও কংগ্রেসের মত আবার আলাদা। এইদিন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, ‘মোদি সবকিছুকে ব্যক্তিগতভাবে নেন। আমাদের উচিত প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা উচিত। আমাদের সময়োপযোগী পদক্ষেপ করা উচিত। প্রতিবেশী তো আর বদলানো যায় না।’ তারপর থেকেই কংগ্রেসের তুলোধুনো করতে শুরু করেছে আম জনতা। এবং এই ইস্যুতেও জোটের মধ্যে যে একটা মতানৈক্য দেখা দিয়েছে সেটাও বেশ স্পষ্ট।