বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সাউথ কলকাতা ল’কলেজ কাণ্ডে ( South Calcutta Law College) উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। কসবায় কলেজ ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে রবিবার কসবা থানা ও কসবার ল’কলেজে উপস্থিত হন জাতীয় মহিলা কমিশনের ( NCW) দল। জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য অর্চনা মজুমদার সহ তিনজন উপস্থিত হয়েছিলেন। যদিও প্লেস অফ অকারেন্সে অর্চনা মজুমদারকে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। পাশাপাশি জাতীয় মহিলা কমিশনের ( NCW) টিম ভিডিওগ্রাফি করতে চাইলেও সেখানেও বাধা দেওয়া হয় । এই ঘটনার পর সেখান থেকে বেরিয়ে যান তারা। কলেজের বাইরে গাড়িতে বসে থাকেন।
সাউথ কলকাতা ল’কলেজে উপস্থিত জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যরা ( NCW)
এদিন এই বিষয়ে পুলিশের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন অর্চনা মজুমদার। কেন তাঁদের ঘটনাস্থল ঘুরে দেখা উচিত সেই বিষয়েও পুলিশদের জানান তাঁরা। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অর্চনা মজুমদারকে বলতে শোনা যায়, ‘আপনারা গুগল করুন। দেখবেন জাতীয় মহিলা কমিশন কোথায়-কোথায় যেতে পারে।’ বস্তুত, এ দিন অর্চনা মজুমদার কসবা থানায় গিয়েছিলেন। OC-র সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
উল্লেখ্য, কসবা কলেজ কাণ্ডে শনিবারই জাতীয় মহিলা কমিশনারের তরফ থেকে মুখ্যসচিবকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। মেডিকেল রিপোর্ট পেশের কথা বলা হয়েছে। সেই ভিত্তিতেই রবিবার সকালে জাতীয় মহিলা কমিশনের ( NCW ) সদস্যরা উপস্থিত হন। প্রথমে কসবা থানায় যান তারা। তারপর সেখান থেকে ল’কলেজে যান ( South Kolkata Law College)।
আরও পড়ুনঃ কলেজে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ, CCTV ফুটেজ ঘাঁটতেই যা দেখা গেল…! কসবা কাণ্ডে নয়া মোড়
যদিও, এদিন কলেজের ঢোকার মুখে বাধা পান অর্চনা মজুমদার এবং কমিশনের অন্য দুই সদস্য। বাধা পাওয়ার ফলে পুলিশের সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন তারা। এমনকি তারা ওই ঘটনাস্থল ঘুরে দেখতে চাইলে সেখানেও রাজি হয়নি কর্মরত পুলিশ আধিকারিকরা ( police)। এই ঘটনা ঘটার পরেই কলেজ বেরিয়ে আসেন অর্চনা মজুমদার সহ কমিশনের তিন সদস্য ( NCW) ।
উল্লেখ্য, গত বুধবার দক্ষিণ কলকাতার ল’কলেজে (South Calcutta Law College) এক পড়ুয়ার উপর গণধর্ষণের ( Rape ) অভিযোগ ওঠে। ইউনিয়ন রুমের ভেতর তরুণীর উপর যৌন নিগ্রহ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে। এই ঘটনার পর থেকে রাজ্য রাজনীতি যথারীতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। এই ঘটনার পর গ্রেফতার করা হয়েছে তিন অভিযুক্ত সহ নিরাপত্তারক্ষীকে। পুলিশের পাশাপাশি, স্বতঃ প্রণোদিত হয়ে এই ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে জাতীয় মহিলা কমিশনও।