তুরস্কে ধ্বংসস্তূপ থেকে ৬ বছরের শিশুকে উদ্ধার NDRF-এর! ভিডিও সামনে এনে গর্ব প্রকাশ অমিত শাহের

বাংলা হান্ট ডেস্ক: একের পর এক ভয়াবহ ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্ক ও সিরিয়া (Turkey-Syria Earthquakes)। শুধু তাই নয়, রীতিমতো মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি। ইতিমধ্যেই মৃতের সংখ্যা প্রায় ২০ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে সেখানে। এমতাবস্থায়, ভূমিকম্প বিধ্বস্ত তুরস্কের উদ্দেশ্যে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত (India)। পাশাপাশি, উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়ে বিভিন্ন শহরে শুরু করা হয়েছে “অপারেশন দোস্ত”।

এমন পরিস্থিতিতে তুরস্কে কংক্রিট কাটার দিয়ে বিশাল বিশাল কংক্রিট কেটে দিনরাত এক করে উদ্ধারকার্য করে চলেছে NDRF (National Disaster Response Force)। পাশাপাশি নিয়ে যাওয়া হয়েছে ট্রাক এবং একটি সি-১৭ কপ্টার। শুধু তাই নয়, ধ্বসংসস্তূপের নিচে কেউ চাপা পড়ে থাকলে তাঁর হার্টবিট খুঁজে তাঁকে উদ্ধার করার মতো পরিকাঠামোরও ব্যবস্থা রয়েছে NDRF-এর কাছে।

এমতাবস্থায়, গত বৃহস্পতিবার তুরস্কের গাজিয়ানটেপ শহরে ধ্বংসস্তূপ থেকে ৬ বছরের এক শিশুকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে NDRF। এদিকে, ইতিমধ্যেই ওই উদ্ধারকাজের ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন অমিত শাহ। পাশাপাশি, তিনি লিখেছেন, “এটা ভারতের জন্য অত্যন্ত গর্বের মুহূর্ত।”

এছাড়াও, অমিত শাহ আরও জানিয়েছেন, “NDRF-এর জন্য আমরা গর্বিত। তুরস্কে উদ্ধারকাজ করতে গিয়ে ৬ বছরের একটি শিশুকে উদ্ধার করেছে NDRF। মোদীজির অনুপ্রেরণায় NDRF-কে বর্তমানে দুনিয়ার সবথেকে দক্ষ উদ্ধারকারী দল হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার বদ্ধপরিকর।”

পাশাপাশি, বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর টুইটের মাধ্যমে জানিয়েছেন যে, তুরস্কের, ইসকান্দারন, হাতায়, তুর্কিয়েতে ইতিমধ্যেই হাসপাতাল খুলেছে সেনা। সেখানেই ইমারেজেন্সি, অপারেশন-সহ বিভিন্ন চিকিৎসা পরিষেবা এবং মেডিক্যাল স্টোর খোলা হয়েছে। যেখানে দিনরাত এক করে কাজ করে চলেছেন NDRF সহ অন্যান্য কর্মীরা।

এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, গত সোমবার ৭.৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হয়ে যায় তুরস্কের একাধিক শহর। মূলত, সেখানে একাধিকবার ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটে। যার জেরে সিরিয়া ও তুরস্ক মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা পৌঁছে গিয়েছে ২০ হাজারের কাছাকাছি (১৯,৩০০)। এদিকে, উদ্ধারের কাজ যত এগোচ্ছে মৃতের সংখ্যাও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর