বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ডিএ (DA) ইস্যুতে তোলপাড় রাজ্য। কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ। গোটা বাংলায় ছড়িয়ে পড়েছে আন্দোলনের আঁচ। সরকারি বিধিনিষেধ অমান্য করে গত ১০ মার্চ চলেছিল ধর্মঘট। সেই ধর্মঘটের অনুপস্থিতির জেরেই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের (Teachers) লাগাতার শোকজ (Show Caused) করে চলছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। গত ২৫ শে মার্চ পর্যন্ত সেই সংখ্যা ছিল ২২৮৫৬ জন। এবার সেই সংখ্যা গিয়ে পৌঁছাল ২৯ হাজারের কাছাকাছি।
সাম্প্রতিককালে শুধুমাত্র ধর্মঘটের কারণে অনুপস্থিতির জন্য একজোটে এত সংখ্যক শিক্ষক শিক্ষিকাকে শোকজ করার ঘটনা কার্যত নজিরবিহীন বলেই জানিয়েছেন পর্ষদ আধিকারিকরা। পর্ষদ সূত্রেই খবর, গত ১০ই মার্চের ধর্মঘটে অনুপস্থিতির কারণে সবমিলিয়ে এখনও পর্যন্ত রাজ্যের মোট ২৮ হাজার ৭০৪ জন শিক্ষক শিক্ষিকাকে শোকজ করা হয়েছে।
পাশাপাশি পর্ষদ জানিয়েছে, ডিআইরা যে রিপোর্ট পাঠাচ্ছেন তার পর ভিত্তি করেই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের শোকজ করা করা হচ্ছে। পাশাপাশি আগামী সাত দিনের মধ্যেই তাদের সকলের কাছে অনুপস্থিত থাকার উপযুক্ত কারণ জানিয়ে উত্তর চেয়ে পাঠানো হয়েছে বলেও পর্ষদ সূত্রে খবর।
উল্লেখ্য, এর মধ্যে সব থেকে বেশি পরিমান শিক্ষক শিক্ষিকাদের শোকজ করা হয়েছে একমাত্র নদীয়া জেলা থেকে। এর পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ জেলা থেকেও শোকজ হওয়ার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সংখ্যাটা প্রচুর। প্রসঙ্গত, গত ১০ই মার্চ ডিএ ইসুকে কেন্দ্র করে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে কর্মবিরতির যে ডাক দেওয়া হয়েছিল সেদিনই অনুপস্থিত থাকা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের শোকজ করা হয়েছে।
পর্ষদ সূত্রে খবর, কর্মবিরতির দিন অনুপস্থিত থাকা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের শোকজ করার যে প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছিল বুধবার প্রায় ২৯ হাজারের কাছাকাছি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের শোকজ করার পর সেই পক্রিয়া কার্যত শেষ হল। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই শোকজের উত্তর ডিআইদের কাছে জমা পড়তেও শুরু করেছে। তবে এরপর এই বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে তা এখনও জানানো হয়নি।