বাংলাহান্ট ডেস্ক : কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদের রাজভবনের সামনে ধর্নায় বসেছিল তৃণমূল নেতৃবৃন্দ। যতদিন না পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকার পদক্ষেপ করে, ততদিন পর্যন্ত ধর্না চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু তৃণমূলের ‘পর্যবেক্ষণ’ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস দিল্লী যাবেন কেন্দ্রীয় বঞ্চনার ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে। তৃণমূল সূত্রে দাবি করা হয়েছে, রাজ্যপাল আশ্বাস দিয়েছেন বকেয়া টাকা নিয়ে ২৪ ঘন্টার মধ্যে তিনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
যদিও এই সময়সীমার কথা রাজ্যপাল তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন নি। তবে রাজ্যপালের ‘সৌজন্যে’র পাল্টা ‘সৌজন্য’ দেখিয়ে তৃণমূল নেত্রীর নির্দেশে রাজভবনের সামনে থেকে ধর্না প্রত্যাহার করার ঘোষণা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে অভিষেক এই ব্যাপারে সময় বেঁধে দিয়েছেন কেন্দ্রকে। অভিষেক জানান, কেন্দ্রীয় সরকারকে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে।
আরোও পড়ুন : চড়া দামে বিকোচ্ছে চিকেন! মাটন কিনতে কত হবে খরচ জানেন? বাজারে গেলেই পকেটে পড়বে টান
যদি তা না হয় তাহলে ১ নভেম্বর থেকে পথে নামবে তৃণমূল। তবে এবার তাঁরা পথে নামবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে। অভিষেক-সহ তৃণমূলের ৩০ জনের প্রতিনিধি দল রাজভবনে রাজ্যপালের সাথে দেখা করে সোমবার বিকালে। রাজ্যপালের সাথে তৃণমূলের প্রতিনিধিদের প্রায় ২০ মিনিট বৈঠক হয়। এই বৈঠকের পর বিবৃতি জারি করা হয় রাজভবনের পক্ষ থেকেও।
আরোও পড়ুন : সুপ্রিম নির্দেশে মিলল স্বস্তি! রাজ্যের শিক্ষকদের বদলি নিয়ে এবার বড়সড় আপডেট
তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছে, রাজ্যপালের সাথে দেখা করে তৃণমূলের পক্ষ থেকে তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে একটি স্মারকলিপি। সেই স্মারকলিপিতে উল্লেখ রয়েছে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা সহ অন্যান্য দাবিগুলি। প্রতিনিধি দলের অন্যতম সদস্য সৌগত রায় রাজভবন থেকে বেরিয়ে বলেন, “আমাদের পক্ষ থেকে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে রাজ্যপালকে। দিয়ে এসেছি চিঠিগুলো। ভালো হয়েছে বৈঠক।”
রাজ্যপাল জানান, “অভিষেকদের বক্তব্য তিনি ধৈর্য সহকারে শুনেছেন। বিষয়গুলি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ এবং বাংলার মানুষের উপকারে যা করণীয় তা তিনি করবেন।” তবে জানা গেছে আজ অর্থাৎ সোমবারই সন্ধ্যায় ফের দিল্লি যাবেন রাজ্যপাল। এই বৈঠকের পরই তৃণমূলের পক্ষ থেকে ধর্না প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।