বাংলাহান্ট ডেস্ক: শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছা বার্তার গণ্ডিতেই আটকে থাকা নয়, প্রজাতন্ত্র দিবসে দশটা মানুষের ভালোর জন্য পথে নামলেন অভিনেত্রী তৃণা সাহা (trina saha)। ২৬ জানুয়ারি উপরক্ষে একটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেন পর্দার গুনগুন। পাশে ছিলেন সারা জীবনের সুখ দুঃখের সঙ্গী নীল ভট্টাচার্যও (neel bhattacharya)।
কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের সহযোগিতায় ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের আনন্দপুর বাসস্ট্যান্ডে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছিলেন নীল তৃণা। তাঁদের সঙ্গী হয়েছিলেন প্রযোজক রানা সরকারও। বহু অসুস্থ মানুষের এখনো রক্তের অভাবে মৃত্যু হয়। তাঁর নিজের পরিবারেও এমন একটি ঘটনা রয়েছে। অভিনেত্রীর এক মামার মৃত্যু হয়েছিল রক্তের অভাবে।
সেই থেকেই তৃণার ইচ্ছা একটি রক্তদান শিবির করার। এতদিন পর অবশেষে পূরণ হল সে ইচ্ছা। আনন্দবাজার অনলাইনকে নীল জানান, কাউন্সিলরের সাহায্য ছাড়া এই কর্মকাণ্ডটা সম্ভব হত না। পাশাপাশি তাঁর অভিনয়ের কাজের জন্যও অনেক সুবিধা হয়েছে। অনেকে নিজে থেকে এসে রক্তদান করেছেন।
পাশাপাশি গড়িয়াহাট অঞ্চলে ২৫ জানুয়ারি পথে বসবাসকারী দরিদ্র মানুষদের জন্য কম্বল বিতরণেরও আয়োজন করেছিলেন নীল তৃণা। শীতেয রাতে ২০০ জন দুঃস্থ মানুষকে উষ্ণতা বিলিয়েছেন তাঁরা। নীল খাইয়েছেন পথপশুদের মাংস ভাত।
‘উমা’র নায়ক অভিমন্যু প্রত্যক্ষ ভাবে সমাজসেবার সঙ্গে যুক্ত। নিজের অর্থ, শ্রম সবটাই সে বিলিয়ে দেয় দুঃস্থ মানুষদের জন্য। দিন হোক বা রাত, নিজের স্বেচ্ছাসেবী দলকে নিয়ে বারংবার সাহায্যে ঝাঁপিয়ে পড়তে দেখা গিয়েছে অভিমন্যু রূপী নীলকে। এমনকি তার এই সমাজসেবার কাজে বাধাদনকারী রাজনৈতিক নেতাকেও ছেড়ে কথা বলেনি অভিমন্যু।
অথচ বাস্তবে নীল তৃণা দুজনেই যোগ দিয়েছেন রাজনীতিতে। অভিনেতার কথায়, তাঁদের কাজের দৌলতেই সর্বত্র পরিচিতি বেড়েছে। রাজনীতিতে আসলে কাজের, সাহায্য করার ক্ষেত্রটা আরো একটু বড় হবে। সেই ভাবনা থেকেই ঘাসফুল শিবিরে আসা।
এর আগেও সমাজসেবা করতে দেখা গিয়েছিল নীল তৃণাকে। নিজেদের এনজিওর মাধ্যমে ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্ত বহু মানুষের মুখে খাবার তুলে দিয়েছিলেন তাঁরা। এমনকি নিজের জন্মদিনেও অনাথাশ্রমের বাচ্চাদের সঙ্গে কেক কেটেছিলেন নীল।