বাংলাহান্ট ডেস্কঃ দিল্লীর (Delhi) নিজামুদ্দিনের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে একসঙ্গে অনেক মানুষের জমায়েতের ফলে ভারতে করোনা (COVID-19) আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারতের পাশাপাশি পাকিস্তান এবং অন্যান্য দেশও এই সমস্যা ভোগ করছে। এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন দেশ এই নিজামুদ্দিনের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের বিপক্ষে কথা বলছে। বর্তমানে অন্যান্য দেশের মতো নেপালও (Nepal) এই বিষয়টাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে।
করোনা পরিস্থিতিতে দিল্লীর নিজামুদ্দিনের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে একসঙ্গে অনেক মানুষ জমায়েত হয়। এবং কিছু মানুষ লকডাউনের ফলে ঘরে ফিরতে না পেরে সেখানেই থেকে যায়। যার জেরে এখন তারা বাড়ি ফেরায় করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা অনেক গুণ বৃদ্ধি পায়। বিভিন্ন অঞ্চলের মতো নেপালেরও কিছু মানুষ ওই জমায়েতে অংশ নিয়েছিল। বর্তমানে নেপাল সরকার ওইসব মানুষদের নেপালের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে খুঁজে পেতে এক বিশেষ অভিযান চালাচ্ছে।
বিগত কয়েকদিন ধরে নেপালের বিভিন্ন মসজিদ এবং বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে লুকিয়ে থাকা মানুষদের খুঁজে বের করে কোয়ারেন্টিনে রাখা হচ্ছে। এই তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু পাকিস্তানি মুসলমানকেও পাওয়া গিয়েছে। এটা কোন চক্রান্ত কিনা সেটাও আশঙ্কা করা হচ্ছে। নেপালের পুলিশ ভারতীয় সীমানায় দুটো আলাদা আলাদা মসজিদে তল্লাশি চালিয়ে ২২ জন পাকিস্তানি মুসলমানকে আটক করে। দিল্লীর নিজামুদ্দিনে নেপালের মুসলমানদের অংশগ্রহণের খবর পেয়েই নেপাল পুলিশ সর্তক হয়ে যায়।
ভারতীয় সীমান্ত লাগোয়া বীরগঞ্জ, ক্যালাইয়া, রথহার্ড, জনকপুর, সতপুরী, শুনসারি এবং বিরাট নগরের বিভিন্ন মসজিদ এবং মাদ্রাসাতে তল্লাশি চালিয়ে ১ হাজারেরও বেশি মৌলবি, দিল্লী থেকে আগত ব্যক্তি এবং বিদেশ থেকে আগত বেশ কিছু ব্যক্তিকে আটক করে কোয়ারেন্টিনে রাখেন নেপাল সরকার। বিগত ১২ দিন ধরে এই সকল মুসলমানি লুকিয়ে থেকে সন্ত্রাস ছাড়ানোর চেষ্টা করছিল কিনা, তাও দেখা হচ্ছে।