বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ভারত (india) ও চিনের মধ্যে বেশ কিছুদিন উত্তেজনার খবর আসছে। যা এখন আবার ভারত ও নেপালের (nepal) মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিতে শুরু করেছে। বিহারের সীতামাহির জেলার আন্তর্জাতিক সীমান্তে নেপাল সশস্ত্র পুলিশের (এপিএফ) গুলিতে স্থানীয় এক গ্রামবাসী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন তিনজন। একজনকে আটকও করে নেপাল পুলিশ। শনিবার যদিও তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সীমান্ত পেরিয়ে ভারত ফিরে নিজের দুর্দশার কথা জানালেন তিনি। ঘটনায় বিকাশকুমার রাই (২৫) নামে মাহোবা গ্রামের এক কৃষকের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। স্থানীয় কৃষক উমেশ রাম এবং উদয় ঠাকুর গুরুতর জখম হয়েছেন।
শুক্রবার, এপিএফ নেপালের সরলাহী জেলার ভারতীয় সীমান্তে নারায়ণপুর এলাকার পারসা গ্রামে ভারতীয় নাগরিকদের একটি ভিড়ের উপর সরাসরি গুলি চালায়। গুলি চালিয়ে বিকাশ নিহত হন এবং দু’জন আহত হন। ৪৫ বছর বয়সী লাগান কিশোরকে এপিএফ হেফাজতে নিয়েছিল।
লগন কিশোর সংবাদসংস্থা এএনআইকে জানান
লগন কিশোর সংবাদসংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন যে তিনি ও তার ছেলে সীমান্তে গিয়েছিলে তাঁর ছেলের বউয়ের সঙ্গে দেখা করতে, যিনি নেপালি নাগরিক। আচমকাই নিরাপত্তারক্ষীরা এসে তাঁর ছেলেকে ধাক্কা মারে। তিনি বাধা দিতে গেলে তাঁকে রুঢ় ভাষায় কথা বলে চুপ করিয়ে দেওয়া হয়। এরপর আরও কয়েকজন নিরাপত্তাকর্মী এসে শূন্যে গুলি চালাতে শুরু করে, বলে জানান লগন।
ভয়ে লগন পালাতে গেলে রাইফেলের বাঁট দিয়ে মারা হয় তাকে
ভয় তাঁরা পালাতে গেলে তাঁকে আটক করা হয়, রাইফেলের বাঁট দিয়ে মেরে নেপালের সংগ্রমপুরে নিয়ে যাওয়া হয় বলেই অভিযোগ লগনের। পুরো ঘটনায় তলপেটে গুলি লেগে মারা যান বিকেশ যাদব নামের এক যুবক। আহত হয়েছেন উদয় ঠাকুর ও উমেশ রাম নামের দুই তরুণ।
লগন জানায় নেপাল পুলিস তাক জোর করে
লগন কিশোর জানিয়েছেন যে নেপালি পুলিশ তাঁকে জোর করেছিল এটা বলিয়ে নিতে যে তাঁকে নেপাল থেকেই ধরে আনা হয়েছে। তিনি তখন তাঁদের বলেন যে প্রাণ গেলেও আমি এটাই বলব যে আমি ভারত থেকে এসেছি।
নেপাল-ভারত সীমান্ত পাহারা দেয় সীমান্ত সুরক্ষা বল
নেপাল-ভারত সীমান্ত পাহারা দেয় সীমান্ত সুরক্ষা বল। এসএসবি-র ডিজি গতকাল জানিয়েছিলেন যে ঘটনাটি নেপাল সীমান্তে প্রায় দেড় কিলোমিটার ভিতরে এসেছে। স্থানীয় গোলোযোগ থেকেই এই বিপত্তি বলেই তিনি জানিয়েছেন। করোনার জেরে সীমান্ত বন্ধ রেখেছে নেপাল। তারপর থেকে এই নিয়ে তৃতীয়বার অস্থিরতা হল এই অঞ্চলে। তবে প্রাণহানির ঘটনা এই প্রথম।