বাংলা হান্ট ডেস্ক: ইতিমধ্যে উত্তপ্ত নেপাল (Nepal Protests)। নেপালের অশান্তি চরমে ওঠার ফলে ইস্তফা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি । এমনকি নেপালের অশান্তির জেরে প্রতিবেশী দেশের পরিস্থিতি নিয়ে সতর্ক নবান্ন। নিউজ 18 প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইতিমধ্যে উত্তরবঙ্গের সীমান্তের জেলাগুলির পুলিশ কর্তাদের বিশেষ নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। এর পাশাপাশি নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবারে রাজ্যের ডিজি রাজীব কুমার,দার্জিলিং জেলার এসপি, শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনার সিপি এবং উত্তরবঙ্গের আইজিকে এই বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনকি সীমান্তবর্তী এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
অশান্ত নেপালের আঁচ বাংলায়, নজরদারিতে শিলিগুড়ি ও দার্জিলিং (Nepal Protests)
ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া খুললে নেপালের উত্তপ্ত পরিস্থিতির কথা জানা যাচ্ছে। সেখানে ফেসবুক,হোয়াটসঅ্যাপ, instagram সহ একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া নিষিদ্ধ করার ঘোষণা করে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যথারীতি উত্তাল ভারতের প্রতিবেশী দেশ নেপাল (Nepal Protests)। এবার নেপালের উত্তাল পরিস্থিতির জন্য ইতিমধ্যে নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য সরকার। সোমবার রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার, উত্তরবঙ্গের আইজি, দার্জিলিং জেলার এসপি ও শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারের সিপিকে বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয় নেপাল সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে নজরদারি রাখার জন্য। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর ও এই নজরদারি চালানো হবে বলে নবান্ন সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: কত দামে বাজারে আসছে iPhone 17 সিরিজ? প্রকাশিত হল লেটেস্ট আপডেট
প্রসঙ্গত নেপালের পরিস্থিতি বর্তমানে উদ্বেগ জনক। কারণ সরকার বিরোধী বিক্ষোভের ফলে ইতিমধ্যে কুড়িজনের বেশি প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে কাঠমান্ডুতে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ১৭ জন। এই উত্তাল পরিস্থিতিতে আহত হয়েছে ৩০০-র বেশি মানুষ। ইতিমধ্যে কাঠমান্ডু মইতে ঘরে সোমবার ভিড় জমে ছিল হাজার হাজার বিক্ষোভকারীরা। তাদের মূল দাবি স্বচ্ছতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে।
যদিও এই উত্তাল পরিস্থিতি সূত্রপাত হয় সোশ্যাল মিডিয়া ব্যান্ড কে কেন্দ্র করে। কারণ নেপাল সরকার ২৭ টি সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন। আর সেখান থেকেই এই উত্তাল পরিস্থিতি কেন্দ্রবিন্দু। যদিও প্রবল আন্দোলনের মুখে পড়ে সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়। এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে কারফিউ জারি করতে থামেনি ‘জেন জি’ আন্দোলনকারীরা। এর পাশাপাশি সরকারের ভূমিকা নিয়ে ইতিমধ্যে অসন্তোষ প্রকাশ করে পদত্যিগ করেছেন নেপালের মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য। পাশাপাশি ইস্তফা দিয়েছেন নেপালের কৃষিমন্ত্রী রামনাথ অধিকারী। তিনি প্রকাশ্যে প্রধানমন্ত্রীর দমননীতির বিরোধিতা করে পথ ছেড়েছেন।
যদিও নেপালের (Nepal Protests) এই উদ্বেগ জনক পরিস্থিতি দেখে, সোমবার বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়,’আমরা নেপালে পরিস্থিতি নজরে রাখছি। এই ঘটনায় বহু তরুণের মৃত্যু ঘটেছে। যার ফলে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। পাশাপাশি এই ঘটনায় আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। আমাদের বিশ্বাস দুই পক্ষের শান্তিপূর্ণ পথ সমস্যার সমাধান করবে’।