বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নেপাল (Nepal) সেইসব নতুন বই বিতরণ বন্ধ করেছে যার মধ্যে রয়েছে দেশের তিনটি কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ ভারতীয় অঞ্চলকে তার অঞ্চল হিসাবে দেখানো দেশের একটি সংশোধিত রাজনৈতিক মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। মিডিয়াতে মঙ্গলবার প্রকাশ্যে আসা খবরে জানা গিয়েছে যে, ওই বই গুলোতে কিছু ভুল ধরা পড়েছে। নেপালের সংসদ দ্বারা সর্বসম্মতিতে লিপুলেখ, কালাপানি আর লিম্পিয়াধুরা এলাকা গুলোকে নিজেদের বলে দাবি করা নতুন রাজনৈতিক মানচিত্রকে মঞ্জুরি দেওয়ার পর দুই দেশের সম্পর্কে তিক্ততা শুরু হয়েছে। যদিও ভারত নেপালের নতুন মানচিত্র আর আর তাঁদের সমস্ত দাবি নস্যাৎ করে দিয়েছে।
কাঠমান্ডু পোস্টের খবর অনুযায়ী, মন্ত্রীমণ্ডলের একটি বৈঠকে মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রালয়কে বলা হয়েছে যে, নবম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত এই বই গুলো যেন আর ছাপা এবং বণ্টন না করা হয়। কারণ ভূমি ব্যবস্থাপনা ও সমবায় মন্ত্রক এবং বিদেশ মন্ত্রক এই নিয়ে কিছু আপত্তি জাহির করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে চীনে বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে আপাতত ভারতের সাথে শত্রুতা ভোলাতে পারে নেপাল।
জানিয়ে দিই, চীন নেপালের হুমলায় (Humla) কবজা জমানো শুরু করে দিয়েছে। চীন হুমলায় ৯ টি বিল্ডিং বানিয়েছে। হুমলার সহায়ক মুখ্য জেলা আধিকারিক দলবাহাদুর হমাল স্থানীয় মিডিয়ার রিপোর্টের ভিত্তিতে ৩০ আগস্ট থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হুমলার লাপচা-লিমি এলাকার সমীক্ষা করেন।
ওই সমীক্ষায় তিনি দেখতে পারেন যে, নেপালের জমিতে চীন ৯ টি বিল্ডিং বানিয়ে ফেলেছে। আর তখনই ওনার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। মিডিয়া রিপোর্টে প্রথমে সেখানে একটি বিল্ডিং থাকার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু এখন সেখানে আরও আটটি বিল্ডিং গজিয়েছে। এমনকি চীন সেখানে এমন ভাবে কবজা করে নিয়েছে যে, সেখানে নেপালের কোনও ব্যাক্তিকে ঢুকতে পর্যন্ত দেওয়া হয় না।
নেপালি মিডিয়ায় চীনের অনুপ্রবেশের ছবি ভাইরাল হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির (KP Sharma Oli) সরকার আরও চাপে পড়ে গিয়েছে। হুমাল জেলার লাপচা-লিপু অঞ্চল হেড কোয়ার্টার থেকে দূরে থাকার কারণে নেপাল এই অঞ্চলকে আগাগোড়াই নজরআন্দাজ করত। আর এই সুযোগেই চীন ওই এলাকা দখল করে নিয়েছে। শোনা যায় যে, ওই এলাকায় চীনের আধিকারিকরা ওই এলাকার সফরেও যেতেন না।
এবার জেলা প্রশাসন কার্যালয় এই বিষয়ে নিজেদের রিপোর্ট নেপালের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রালয়কে পাঠানো হয়েছে। ওই রিপোর্টে নেপালি এলাকায় চীনের অনুপ্রবেশ নিয়ে সমস্ত তথ্য দেওয়া হয়েছে। আরেকদিকে, চাপ সৃষ্টি করানোর জন্য নেপালের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নেপালি বিদেশ মন্ত্রককে পাঠিয়েছে।
এর আগে শোনা গিয়েছিল যে, চীন নেপালের সাতটি জেলায় কবজা করা শুরু করেছে। নেপালের কৃষি বিভাগের সমিক্ষা বিভাগ জানায় যে, গোরখা আর দারচুলা জেলার অনেক গ্রামে কবজা করে নিয়েছে। এভাবেই ধীরে ধীরে নেপালকে গ্রাস করে নিচ্ছে ড্রাগন। আর নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি চীন প্রেমে এত মত্ত যে, তিনি এদিকে কর্ণপাত করতে নারাজ।