বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নেপালের রাজনীতিতে সঙ্কটের (Nepal Political Crisis) মেঘ দানা বেধছে। নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি (KP Sharma Oli) রাষ্ট্রপতির সাথে সাক্ষাৎ করছেন। যদিও এটা স্পষ্ট না যে, এই সাক্ষাৎ ইস্তফা দেওয়ার জন্য নাকি নতুন রাজনৈতিক মারপ্যাচের জন্য। আরেকদিকে ওলি আজও ক্যাবিনেটের এমার্জেন্সি মিটিং ডেকেছেন। এই বৈঠকে কোন অসাংবিধানিক সিদ্ধান্তের আশঙ্কায় নেপালের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দহল প্রচণ্ড (Pushpa kamal dahal prachanda) নিজের ঘনিষ্ঠ মন্ত্রীদের বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার আদেশ দিয়েছেন। সুত্র থেকে প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির স্ট্যান্ডিং কমিটির ৪৫ জনের মধ্যে ৩০ জন সদস্যই প্রধানমন্ত্রী ওলির ইস্তফা চান।
Nepal Prime Minister KP Sharma Oli likely to address the nation today. (File pic) pic.twitter.com/3Ri6elXjLn
— ANI (@ANI) July 2, 2020
প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, ওলি মঙ্গলবার রাতে চীনের রাজদূতের সাথে সাক্ষাৎ করার জন্য গেছিলেন, কিন্তু সেখান থেকে তিনি হতাশ হয়ে ফেরেন। এমনও খবর পাওয়া যাচ্ছে যে, দল ভাঙা থেকে বাঁচাতে ওলিকে শীঘ্রই ইস্তফা দিতে হবে। যদি ওলি প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা না দিতে চান, তাহলে মাওবাদী দলের মন্ত্রীরা ইস্তফা দেবে। আরেকদিকে ওলির দলের স্থায়ী সমিতির ইস্তফার দাবি না মেনে সংসদীয় দলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা জোটানোর চেষ্টা চালাতে পারে। জানিয়ে দিই, ওলির দলের শীর্ষ নেতারা বলেছেন যে, প্রধানমন্ত্রীর ভারত বিরোধী গতিবিধি না রাজনৈতিক দিক থেকে ঠিক আর না কূটনৈতিক দিক থেকে।
Kathmandu: Nepal PM KP Sharma Oli is not present at the Communist Party Standing Committee meeting that is underway at Baluwatar. pic.twitter.com/01votgRfVM
— ANI (@ANI) July 2, 2020
এর আগে, প্রধানমন্ত্রী ওলির সরকারি আবাসে ক্ষমতায় থাকা দলের স্থায়ী সমতির বৈঠক শুরু হওয়ার সাথে সাথে ওলির দলের ওলি বিরোধী নেতা প্রচণ্ড প্রধানমন্ত্রীর ভারত বিরোধী মন্তব্য নিয়ে সমালোচনা করেন। উনি বলেন, ‘ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, ভারত ওনাকে পদ থেকে সরানোর জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। প্রধানমন্ত্রীর এই ভারত বিরোধী বয়ান, না রাজনৈতিক দিক থেকে সঠিক আর না কূটনৈতিক দিক থেকে।”
গুঞ্জন উঠেছে যে, চীনের উসকানির কারণে নেপালি প্রধানমন্ত্রী ওলি ভারত বিরোধী গতিবিধি চালাচ্ছে। যদিও এমনও শোনা যাচ্ছে যে, ওলির মুশকিল সময়ে চীনও ওলির মাথার উপর থেকে হাত সরিয়ে নিচ্ছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গতকাল রাতে চীনের রাজদূতকে প্রধানমন্ত্রীর আবাসে ডাকা হয়। সুত্র অনুযায়ী, চীনের রাজদূতও এবার হাত তুলে দিয়েছে। আর এখন দল ভাঙার থেকে বাঁচাতে ওলির ইস্তফাই একমাত্র বিকল্প রাস্তা। শোনা যাচ্ছে যে, ওলি যদি প্রধানমন্ত্রী পদ ছেড়ে দেয়, তাহলে হয়ত ওনার দলের সভাপতির পদ বেঁচে যেতে পারে।