Bangla Hunt Desk: উত্তরপ্রদেশের (Uttar pradesh) গোরক্ষপুরের ম্যাজিস্ট্রেট ও এসডিএম সহজনওয়ান অনুজ মালিকের কাছে খবর আসে, উত্তরপ্রদেশের লাইসেন্স নিয়ে সেখানে নেপালের জন্য মশলা (spices) তৈরি হচ্ছে। খবর পেয়েই তাঁদের নির্দেশে বুধবার খাদ্য সুরক্ষা দফতরের একটি দল গিদারের একটি কারখানায় আচমকা অভিযন চালায়।
অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালায় পুলিশ
উত্তরপ্রদেশের যৌথ ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে অভিযোগ এসেছিল, গিদা সেক্টর ১৩-এ পরিচালিত এএস ফুডস অ্যান্ড বেভারেজগুলি রাজ্যের লাইসেন্সে মশলা তৈরি করে নেপালে পাঠিয়ে দিচ্ছে। অভিযোগের ভিত্তিতে যুগ্ম ম্যাজিস্ট্রেট খাদ্য সুরক্ষা কর্মকর্তা প্রতিমা ত্রিপাঠি ও তহসিলদার ঘটনাস্থল পরিদর্শনের নির্দেশ দেন।
উদ্ধার হয় লক্ষাধিক টাকার মশলা
অধিকর্তাদের নির্দেশেই বুধবার অভিযান চালায় একটি টিম। অভিযান চালিয়ে কারখানা থেকে ২০০ গ্রামের হলুদের গুঁড়ো এবং ১০০ গ্রামের লঙ্কার গুঁড়োর প্যাকেট উদ্ধার করা হয়। সব মিলিয়ে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৮.৬০ কুইন্টাল হলুদ গুঁড়ো এবং ৩.৪০ কুইন্টাল লঙ্কার গুঁড়ো উদ্ধার করা হয়েছে, যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ১.০১ লক্ষ টাকা।
বাজেয়াপ্ত করা হয় শুকনো লঙ্কার বস্তাও
সেইসঙ্গে গুদামে প্রায় ১০০ বস্তা শুকনো লঙ্কাও পাওয়া গেছে। যার দাম প্রায় ২.৫০ লক্ষ টাকা। এই শুকনো লঙ্কার বিষয়ে বিক্রেতা জানিয়েছে, লকডাউন থাকার কারণে তা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই এগুলোকে ফেলে দিতে হবে। অভিযানের টিম ওই ১০০ বস্তা শুকনো লঙ্কাও বাজেয়াপ্ত করেছে এবং দ্রুতই নষ্ট করার নির্দেশ দিয়েছে।
বন্ধ করা হয় কারখানা
উদ্ধার হওয়া সমস্ত মশলার প্যাকেটেই রাজ্যের লাইসেন্সের নম্বর লেখা ছিল। পাশাপাশি সেখানে নেপালে পাঠানোর বিষয়েও লেখা ছিল। অভিযনের এই টিম সমস্ত মশলাই বাজেয়াপ্ত করেছে। সেইসঙ্গে কারখানার মালিককে জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় লাইসেন্স না পাওয়া পর্যন্ত তিনি তাঁর কারখানায় কোন মশলা প্রস্তুত করতে পারবেন না।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা