বাংলা হান্ট ডেস্ক : গুমনামী সিনেমা দেখেও কিন্তু অনেকের এখনও অবধি জল্পনার শেষ নেই। গুমনামী ও নেতাজীর মধ্যে এক করে গুলিয়ে ফেলা হলেও আসলে কে আসল কে নকল সেই প্রশ্নের উত্তর কিন্তু খোঁজা একপ্রকার যেন খড়ের গাদায় সূচ খোঁজার মতো অবস্থা হতে হয়। কিন্তু এবার বোধহয় সেই জল্পনার অবসান ঘটবে শীঘ্রই। কারণ, বিগত কয়েক দশক ধরে চলা এই বিতর্ক নিয়ে অবশেষে রিপোর্ট দিল কমিশন।
যেখানে বলা হয়েছে গুমনামী বাবা ও নেতাজী আলাদা ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বিষ্ণু সহায় কমিশন যে রিপোর্ট জমা দিয়েছে তাতে কিন্তু একেবারেই গুমনামী বাবা ও নেতাজীকে আলাদা ব্যক্তি হিসেবেই তুলে ধরা হয়েছে।যদিও তাঁর সঙ্গে নেতাজীর অনেক মিল ছিল। কিন্তু তাঁর মানে যে তাঁরা এক ব্যক্তি তা নয়। তবে গুমনামী বাবা কিন্তু নেতাজীর একজন অনুগামী ছিলেন তা একেবারেই নিশ্চিত।
২০১৩ সালে এলাহাবাদ হাইক্রোটের কাছে যে আবেদন করা হয়েছিল তার পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত বিষ্ণু কমিশন বৃহস্পতিবার একটি ১৩০ পাতার রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। পাশাপাশি উত্তপ্রদেশর বিধানসভা ও বিধান পরিষদের কক্ষে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। আর সেই রিপোর্টেই বলা হয়েছে কন্ঠেস্বরের মিল থাকলেও আর কোনো মিল কিন্তু গুমনামী বাবার সঙ্গে নেতাজীর ছিল না।
তবে এই গুমনামী বাবা কিন্তু সেসময়ের এক অসাধারণ জ্ঞানী মানুষ ছিলেন।ষযিনি বাংলা ছাড়াও হিন্দি ও ইংরাজীতে তুখর পাশাপাশি সমকালীন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও সামাজিক পরিস্থিতি সম্পর্কে তাঁর বহুল দাখিল ছিল। এককথায় অসামান্য ব্যক্তিত্বের অধিকারী। মূলত ৮০র দশকে এই গুমানামী বাবাকে নিয়ে যত জল্পনা ছড়ায়। এবং মানুষের মধ্যে তাঁকে নিয়ে অনেক প্র্শন জাগতে শুরু করে।
তারপরেই তাঁকে নেতাজীর সঙ্গে তুলনা করা হয় এবং নেতাজীর সঙ্গে তাঁর অভূত মিল রয়েছে বলে জল্পনাও ছড়িয়েছিল। বৃহস্পতিবার বিষ্ণু কমিশনের তরফে যে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে তাতে ১১টি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। আর সেখানেই জানানো হয়েছে গুমনামী বাবা কিন্তু নেতাজীর ভক্ত ছিলেন।