বাংলাহান্ট ডেস্ক: নূন্যতম প্রচার আর অনেকটা পরিশ্রমের ফল পরিচালক অনীক দত্তের (Anik Dutta) ছবি ‘অপরাজিত’ (Aparajito)। গত ১৩ মে মুক্তি পেয়েছে ছবিটি। ইতিমধ্যেই দক্ষিণের ব্লকবাস্টার ‘কেজিএফ চ্যাপ্টার ২’কে ছাপিয়ে গিয়েছে অপরাজিত। IMDb রেটিংয়ের ক্ষেত্রে ‘রকি ভাই’ এর জৌলুশ ম্লান করে দিয়েছে ‘অপরাজিত রায়’। এবার স্বয়ং সত্যজিৎ রায়ের (Satyajit Ray) কালজয়ী ছবি ‘অপরাজিত’র সঙ্গে তুলনা টানা হল অনীক দত্তের ছবির।
সত্যজিতের জন্ম শতবার্ষিকীতে অনীক দত্তের শ্রদ্ধার্ঘ ‘অপরাজিত’। কালজয়ী ছবি ‘পথের পাঁচালি’ তৈরি হওয়ার নেপথ্যের অজানা কথা এই ছবির মাধ্যমেই তুলে ধরেছেন তিনি। তাঁর নায়ক অপরাজিত কীভাবে চাকরি ছেড়ে একটি ছবি বানিয়ে গোটা বিশ্বে সম্মান অর্জন করেন সেই সফরটা তুলে ধরেছে অপরাজিত। সত্যজিৎই ‘অপরাজিত’র অনুপ্রেরণা।
সেখানে স্বয়ং স্রষ্টার সঙ্গেই কিনা তুলনা টানা হচ্ছে নতুন ছবির! আসলে সত্যজিৎ রায়ের ‘অপরাজিত’র IMDb রেটিং ৮.৩ এবং পরিচালক অনীক দত্তের ছবি ‘অপরাজিত’র রেটিং ৯.৪। দুই ছবির রেটিংয়ের তুলনা টানা নিয়েই ক্ষুব্ধ নেটনাগরিকদের একাংশ।
অনীক দত্তের ছবি নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। কিন্তু সত্যজিৎ রায় অতুলনীয়। দুটি ছবির মধ্যে এভাবে তুলনা না টানাই উচিত বলে মত নেটিজেনদের। কয়েকজন দাবি করেছেন, অনীক দত্তও এমন তুলনা দেখলে খুশি হতেন না। যে মহান মানুষটির ছায়ায় ‘অপরাজিত রায়’ চরিত্রটি তৈরি হয়েছে তাঁকে বরং শ্রদ্ধা জানানো উচিত বলে মত ক্ষুব্ধ নেটজনতার।
তবে একথা বলতে দ্বিধা নেই দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির ব্লকবাস্টার ছবি ‘কেজিএফ চ্যাপ্টার ২’ কে ছাপিয়ে গিয়েছে এই ছবি। দুটি ছবির IMDb রেটিংয়ের মধ্যে বিশাল ফারাক। অপরাজিতর IMDb রেটিং এই মুহূর্তে ৯.৪। অন্যদিকে কেজিএফ চ্যাপ্টার ২ এর রেটিং এখন ৮.৯।
সাম্প্রতিক কালের একাধিক বাংলা ছবি তো বটেই, দক্ষিণের ব্লকবাস্টার ছবিগুলিকেও ছাপিয়ে গিয়েছে অপরাজিত। বাংলা ইন্ডাস্ট্রির ক্ষেত্রে অপরাজিতর এই সাফল্য সত্যিই গৌরবের।