বাংলাহান্ট ডেস্ক : স্বদেশি প্রযুক্তির জয়জয়কার সর্বত্র। সে বিধ্বংসী মারণাস্ত্রই হোক বা অত্যাধুনিক স্মার্টফোন, দেশীয় প্রযুক্তির উপরেই ভরসা করছে ভারতীয় সেনাবাহিনী (Indian Army)। এবার শত্রুপক্ষের আড়ি পাতার সম্ভাবনা ঠেকাতে স্বদেশি স্মার্টফোন ‘সম্ভব’ বেছে নিল সেনা। ফিফথ জেনারেশনের এই স্মার্টফোন শত্রুর নজরদারি এড়িয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার হওয়া থেকে রুখতে সক্ষম।
সমঝোতার পরেই ভারতীয় সেনায় (Indian Army) নিরাপত্তার কড়াকড়ি
বর্তমানে প্রযুক্তি যত উন্নত হচ্ছে তত বাড়ছে বিপদও। হ্যাকিং এর মতো ঘটনার পাশাপাশি ফোনে আড়ি পাতার ঘটনাও বাড়ছে। এহেন পরিস্থিতিতে এবার ভারতীয় সেনার হাতে তুলে দেওয়া হল সম্ভব স্মার্টফোন। উল্লেখ্য গত বছরই এই ফোন উঠেছে ভারতীয় সেনার (Indian Army) হাতে। ২০২৪ এর অক্টোবরে দুই দেশের সমঝোতার পর ডেপসাং ও ডেমচক সীমান্ত থেকে পিছু হটেছে ভারত এবং চিনের সেনা। সে সময়ে এই স্মার্টফোনের সাহায্যেই নাকি আলোচনা সেরেছিলেন সেনা আধিকারিকরা।
সেনা আধিকারিকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ফোন: এ বিষয়ে ভারতীয় সেনা (Indian Army) প্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদী জানান, নিরাপদ যোগাযোগের ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকরী এই স্মার্টফোন। এবার সেনা আধিকারিকদের হাতে তুলে দেওয়া হবে এই ফোন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানা গিয়েছে, দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে নিরাপদে কথোপকথন চালাতে ৩০ হাজার সম্ভব স্মার্টফোন সেনা আধিকারিকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন : ফের ধূর্তামি চিনের! ভারতকে “জব্দ” করতে নয়া ফন্দি আঁটছে ড্রাগন, ফাঁস হয়ে গেল পরিকল্পনা
কী বিশেষত্ব রয়েছে এই ফোনের: এই স্মার্টফোনের বিশেষত্ব হল, এতে হোয়াটসঅ্যাপ নেই। তার বদলে রয়েছে নিজস্ব এম-সিগমা অ্যাপ। এর মাধ্যমেও একই ভাবে নথিপত্র পাঠানো যায় এবং যোগাযোগ করা যায়। বড় সাইজের ফাইলও সহজে পাঠানো যাবে এই অ্যাপের মাধ্যমে। জিও, এয়ারটেল এর মতো টেলিকম সংস্থার মাধ্যমে যোগাযোগ করা যাবে এই ফোন থেকে। তবে কথোপকথন, মেসেজ, নথি, ছবি, ভিডিও পাঠানো ছাড়া আর কোনো কাজ করা যাবে না এই ফোন থেকে।
আরো পড়ুন : ‘কেউ পাত্তাই দেয়নি’, TRP তুলেও ‘ফ্লপনীতা’ তকমা! বাংলা সেরা হয়ে উচিত জবাব ‘রায়ান’ উদয়ের
আরো জানা যাচ্ছে, সমস্ত সেনা আধিকারিকদের (Indian Army) নম্বর আগে থেকেই সেভ করা থাকছে এই ফোনে। জানা যাচ্ছে, আগে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি আদানপ্রদান করতেন সেনাকর্তারা। কিন্তু তাতে শত্রুপক্ষের আড়ি পাতার ঝুঁকি থেকে যেত। এই কারণে সেনার হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। আর এবার দেশের নিরাপত্তাকে আরো জোরদার করতে সম্ভব স্মার্টফোনে আস্থা রাখল ভারতীয় সেনা।