ঠিকাদারদের পাওনা টাকা কোথায় গেল? স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনে নতুন মোড়, বিডিও প্রশান্ত বর্মনের বিরুদ্ধে বিষ্ফোরক অভিযোগ

Published on:

Published on:

Follow

বাংলাহান্ট ডেস্ক : পশ্চিম মেদিনীপুরে স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর মোড়। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই নাম জড়িয়েছে জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের বিডিও (Rajganj BDO) প্রশান্ত বর্মনের। তাঁর বিরুদ্ধে উঠেছে স্বর্ণ ব্যবসায়ী স্বপন কামিল্যাকে খুনের মতো গুরুতর অভিযোগ। এবার তাঁর দিকে আঙুল তুললেন স্থানীয় একাধিক ঠিকাদার।

বিডিও প্রশান্ত বর্মনের (Rajganj BDO) বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ

স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে খুনের অভিযোগ ওঠার পর থেকেই বিডিও প্রশান্ত বর্মনের (Rajganj BDO) আরও কীর্তি সামনে আসতে শুরু করেছে। রাজগঞ্জের একাধিক ঠিকাদার সরব হয়েছেন তাঁর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ঠিকাদারদের পাওনা আটকে তা নিজেই আত্মসাৎ করেছেন ওই বিডিও। দীর্ঘদিন ধরে পাওনা টাকা পান না ঠিকাদাররা। একজন ঠিকাদার অভিযোগ করেন, যেদিন থেকে প্রশান্ত বর্মন বিডিওর (Rajganj BDO) দায়িত্বে এসেছেন সেদিন থেকেই নাকি চুরি শুরু করেছেন তিনি।

New accusations against rajganj BDO

কী অভিযোগ ঠিকাদারদের: ঠিকাদারদের অভিযোগ, দু বছর ধরে তাঁদের টাকা আটকে রাখা হয়েছে। সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পে যে ঠিকাদাররা রয়েছেন তাদের কারোর ৫০ তো কারোর ৭০-৮০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আটকে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ। প্রাপ্য টাকা চাইতে গেলে জোটে হুমকি। একজন ঠিকাদারের অভিযোগ, একবার নাকি এমন হুমকি দিয়েছিলেন তিনি যে তাঁর স্ট্রোক হয়ে গিয়েছিল! শুধু তাই নয়, ঠিকাদারদের বিনা কারণে ব্ল্যাক লিস্ট করে দেওয়ার মতো অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। অনেকে বলছেন, টাকা চাইতে গেলে তাঁদেরই না খুন হয়ে যেতে হয়, এখন সেই ভয়টাই পাচ্ছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন : নায়ক ছাড়াই চলছে সিরিয়াল, অসুস্থতা কাটিয়ে কবে সেটে ফিরবেন জিতু?

অফিসের বাইরে হয়েছে বিক্ষোভ: বিডিওর (Rajganj BDO) অফিসের বাইরে বিক্ষোভও দেখান ঠিকাদারদের একাংশ। যদিও খুনের অভিযোগ ওঠার পর থেকেই নিয়মিত নিজের দফতরে আসা বন্ধ করেছেন প্রশান্ত বর্মন। ফলত স্থানীয় মানুষ বিভিন্ন দরকারে বিডিওকে (Rajganj BDO) না পেয়েও ক্ষুব্ধ। উল্লেখ্য, পশশছিম মেদিনীপুরের স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই বিডিও প্রশান্ত বর্মনের গাড়ির চালক এবং তাঁর এক বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন : বেঁচে যাবে রেস্তোরাঁর খরচ, সানডে লাঞ্চে বাড়ির প্রেশার কুকারেই হোক মাটন রেজালা

এর আগেও অবশ্য প্রশান্ত বর্মনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। সেসময় রাজগঞ্জের পাশের জেলা আলিপুরদুয়ারের কালচিনির বিডিও ছিলেন তিনি। সেসময়ও বিডিও গাড়িতে তেল ভরিয়ে পেট্রোল পাম্পে বড় অঙ্কের টাকা না মেটানোর অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে।