কবিগুরুর শান্তিনিকেতন এখন ইউনেস্কো হেরিটেজ সাইট, ৫ বছর পর খুলছে দরজা, রয়েছে বিশেষ আকর্ষণ!

Published on:

Published on:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : দীর্ঘ ৫ বছরের অপেক্ষার পর পর্যটকদের জন্য খুলছে বিশ্বভারতী ক্যাম্পাস। আগামী রবিবার থেকেই সীমিত ভাবে খুলে দেওয়া হচ্ছে ক্যাম্পাস। বছর দুই আগে শান্তিনিকেতনকে (Shantiniketan) ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট তকমা দিয়েছে ইউনেস্কো। তারপর এই প্রথম পর্যটকদের জন্য খুলে যাচ্ছে ক্যাম্পাসের গেট। বড় উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে কর্তৃপক্ষের তরফে। রবিবার করে নির্দিষ্ট সময় এবং রুটে ঘুরে দেখা যাবে বিশ্বভারতী ক্যাম্পাস (Visva Bharati Campus)। সঙ্গে থাকবে গাইড। দু সপ্তাহের মধ্যে এই হেরিটেজ ওয়াক চালু হবে বলে জানা যাচ্ছে।

দীর্ঘদিন পর পর্যটকদের জন্য খুলে যাচ্ছে শান্তিনিকেতন (Shantiniketan)

সেই করোনার সময় থেকেই পর্যটকদের জন্য বন্ধ ছিল বিশ্বভারতী। তার মাঝেই ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পায় কবিগুরুর স্মৃতিবিজড়িত শান্তিনিকেতন (Shantiniketan)। অবশেষে ফের পর্যটকদের প্রবেশানুমতি মিলল ক্যাম্পাসে। হেরিটেজ ওয়াকের বিষয়ে জানা গিয়েছে, একসঙ্গে সর্বোচ্চ ২৫ জনের ব্যাচ তৈরি হবে। দিনে মোট চারবার ক্যাম্পাসের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখা যাবে। সকাল সাড়ে দশটা, সাড়ে এগারোটা, দুপুর আড়াইটে এবং সাড়ে তিনটে দিনে এই চারটি সেশন হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রতিটি ব্যাচ সময় পাবে দু ঘন্টা করে।

New attraction in shantiniketan as the door opens for tourists

কী কী থাকছে হেরিটেজ ওয়াকে: রবীন্দ্রভবনের বিপরীত গেট দিয়ে প্রবেশ করে ছাতিমতলা থেকে সূচনা হবে হেরিটেজ ওয়াকের। সেখানে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিশ্রামস্থল দেখে একে একে যাওয়া হবে পাঠভবন, মাধবীবিতান, গৌরপ্রাঙ্গণ, চৈতি বাড়ি, শালবিথী, আম্রকুঞ্জ, শান্তিনিকেতন গৃহের মতো ঐতিহ্যবাহী (Shantiniketan) স্থানগুলিতে। তারপর যাওয়া হবে উপাসনা গৃহে। তবে জানা যাচ্ছে, আপাতত এই ওয়াকে কলাভবন এবং সঙ্গীত ভবন অন্তর্ভুক্ত নেই। তবে ভবিষ্যতে ওই দুই ভবনও যোগ করা হবে বলে খবর।

আরও পড়ুন : ‘নিষিদ্ধ’ যৌনতার প্রতি ঝোঁক বাচ্চাদের, সম্মতির বয়স কমিয়ে ১৬-তে আনার পক্ষে আবেদন সুপ্রিম কোর্টে

কত টাকা করে টিকিট: রবীন্দ্রভবন সংগ্রহশালার অফিস থেকে মিলবে টিকিট। জানা যাচ্ছে, মাথাপিছু ৩০০ টাকা করে রয়েছে টিকিটের দাম। যদিও পড়ুয়া ব্যাচের জন্য টিকিট মূল্য ৫০ টাকা, এক একজন পড়ুয়ার ক্ষেত্রে ১৫০ টাকা এবং বিদেশিদের জন্য ১০০০ টাকা করে টিকিট রাখা হয়েছে। লিফলেটে বাংলা, হিন্দি এবং ইংরেজিতে ক্যাম্পাস সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকবে। দুটি নির্দিষ্ট জায়গায় চা জলের ব্যবস্থা থাকবে। থাকছে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা এবং বিশ্বভারতীর (Shantiniketan) নিজস্ব গাইড। আগামীতে অনলাইনেও ভার্চুয়াল ট্যুরের পরিকল্পনা থাকছে বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন : নিরাপত্তার নিরিখে ৬৬ তম স্থানে ভারত, চমকে দেবে পাকিস্তানের রিপোর্ট! কত নম্বরে বাংলাদেশ?

আনুষ্ঠানিকভাবে হেরিটেজ ওয়াক শুরু হওয়ার আগে বিশ্বভারতীর উপাচার্য প্রবীরকুমার ঘোষ আধিকারিকদের নিয়ে এক পরীক্ষামূলক ভ্রমণ করেন। তারপর ত্রুটিগুলির একটি তালিকা তৈরি করে বৈঠক করা হয় ইউনেস্কো হেরিটেজ কমিটির সঙ্গে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র ভবনের অধিকর্তা বলেন, দর্শনার্থীরা এতদিন রবীন্দ্র ভবন দেখতেন। এবার আশ্রম চত্বরও খুলে দেওয়া হচ্ছে তাঁদের জন্য। ইতিহাসকে জানতে ইউনেস্কোর নির্দেশেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে খবর।