বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ডিএ (DA) ইস্যুতে তোলপাড় রাজ্য। কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতার দাবি রাস্তায় আন্দোলনে নেমেছেন রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ। বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উঠে আসছে এই একই ছবি। একই সঙ্গে চলছে আইনি লড়াই। এরই মাঝে সামনে এলো আরেক তথ্য। জানা গিয়েছে আরটিআই (RTI) এর জবাব না পেয়ে এবার সরকারের (West Bengal Government) বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court) এক নতুন মামলা দায়ের হয়েছে।
ঠিক কী জানা যাচ্ছে? সূত্রের খবর, রাইট টু ইনফরমেশন এর উত্তর না পেয়েই এই মামলা দায়ের হয়েছে। উল্লেখ্য, রাজ্যে ২০১৯ সালে রোপা আইন চালু হয়েছিল। রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, সরকারি মেমোতে ‘ষষ্ঠ বেতন কমিশনে’র উল্লেখ রয়েছে। এই নিয়ে সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন ইউনিটি ফোরামের আহ্বায়ক দেবপ্রসাদ হালদার আরটিআই করেছিল। আরটিআই এর মাধ্যমে তিনি ষষ্ঠ পে কমিশনের সেই সুপারিশ বা রিপোর্টের কপি দেখতে চেয়েছিলেন।
তবে, অভিযোগ বারংবার আপিলেও কোনো জবাব মেলেনি। সেই নথিও দেখতে পায়নি ইউনিটি ফোরাম। এই নিয়েই গত গত ৫ এপ্রিল কলকাতা হাই কোর্টে ইউনিটি ফোরামের আহ্বায়ক দেবপ্রসাদ হালদার তরফে একটি মামলা করা হয়েছে। আগামী ২৮ এপ্রিল বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের সিঙ্গল বেঞ্চে এই মামলাটির শুনানি হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে, রাজ্য সরকারি কর্মীদের দাবি তারা নিজেদের পাওনা থেকে বঞ্চিত। এই অভিযোগ নিয়ে আগামী ১০ ও ১১ এপ্রিল দিল্লিতে গিয়ে ধরনায় বসতে চলেছে যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের আন্দোলনকারীরা। জানা গিয়েছে, মোট ৫০০ ডিএ আন্দোলনকারী রাজধানী যাচ্ছেন। দুই দফায় দিল্লি গিয়ে পৌঁছবেন তারা।
সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এবং শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের কাছে ডেপুটেশন দেবেন আন্দোলনকারীরা। পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গেও দেখা করার কথা তাদের। ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতির অফিস তাদের জন্য সময় বরাদ্দ করা হয়েছে বলেও দাবি তাদের। অন্যদিকে, উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ও সময় দিয়েছেন তাদের। জানিয়ে রাখি, আগামী ১১ এপ্রিল ডিএ মামলার শুনানি হওয়ার কথা সুপ্রিম কোর্টে।