বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদের যুগ্ম সচিব এসএন ইয়াসিনের বক্তব্যের জেরে নতুন করে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ইয়াসিন এবার জানিয়েছেন যে, জরিপের জন্য তিনি মুসলিম ব্যতীত আর কাউকেই মসজিদে ঢুকতে দেবেন না। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই বারাণসী আদালত আগামী ৬ এবং ৭ মে সেখানে সার্ভে করার নির্দেশ দিয়েছে।
এমতাবস্থায়, এস এন ইয়াসিন স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন যে, “শৃঙ্গার গৌরী জ্ঞানবাপী মসজিদ ব্যারিকেডিংয়ের বাইরে রয়েছে। যদি জরিপ করতেই হয় তবে শৃঙ্গার গৌরীকেই জরিপ করা উচিত। এতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই, বরং এটা প্রশাসনের বিষয়। তবে, মসজিদের ভেতরে মুসলমান ছাড়া কোনো ব্যক্তিকে ব্যারিকেডিং দিয়ে ঢুকতে দেব না।”
৬ ও ৭ মে সম্পন্ন হবে সার্ভে:
ইতিমধ্যেই বারাণসীর সিভিল জজ সিনিয়র ডিভিশন রবি কুমার, বিশ্বনাথ মন্দির-জ্ঞানবাপী কমপ্লেক্সের আঞ্জুমান ইনাজানিয়া মসজিদে ঈদের পরে আগামী ৬ এবং ৭ মে ভিডিওগ্রাফি এবং সার্ভের নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়াও, উভয় পক্ষের লোকজনকে উপস্থিত থাকার পাশাপাশি আইন ও শান্তি বজায় রাখতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পূর্ণ নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে আদালত।
এদিকে, এই নির্দেশে মসজিদের সচিব এস এন ইয়াসিন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। পাশাপাশি, তাঁরা দাবি করেন, এই মসজিদটি জ্ঞানবাপী কমপ্লেক্সের অধীনে আসে না। বরং মসজিদটি কমপ্লেক্সের সীমানার বাইরে।
“আমাদের শুনানি হয়নি”- ইয়াসিন:
“আদালত জরিপের নির্দেশ দেওয়ার পরও কেন প্রতিবাদ করলেন না?” এই প্রশ্নে ইয়াসিন অভিযোগের সুরে জানান, “আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছি কিন্তু কোথাও আমাদের শুনানি হয়নি। আমাদের আইনজীবীরাও আমাদের পক্ষে জেরা করেছেন কিন্তু তাতেও কোনো শুনানি হয়নি। এছাড়াও, ইয়াসিন বলেন, একটু সময় পেলে আরও আইনি লড়াই করব।”
পাশাপাশি, তিনি আরও বলেন, “জরিপের তারিখ একটু পিছানো হলে আমরা বড় আদালতের দ্বারস্থ হব। এই পুরো পর্বে কোনো পারস্পরিক সংঘর্ষের পরিস্থিতি থাকবে না। বরং, আমরা আইনের আওতায় থেকে প্রতিবাদ জানাব।”